
মেহেদী হাসান সেতু, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়েতের আমীর ও সুন্দরদিঘী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হালিমের সাথে এক গৃহবধূর পরকীয়ার অভিযোগে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত আব্দুল হালিম একাধারে জামায়াত নেতা, সুন্দরদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান, কাজী (বিবাহ রেজিস্টার), স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও খারিজা গুয়াগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবার মারফত জানা যায়, প্রায় চার মাস আগে ফুলবাড়ী গ্রামের মোঃ রফিক হাসানের সাথে পার্শ্ববর্তী ষোলঘর এলাকার মিমি আক্তারের বিয়ে হয়। চাকরী সূত্র গৃহবধূ মিমির স্বামী রফিক ঢাকায় থাকেন কিন্তু মিমি থাকতো তার স্বামীর পিত্রালয়ে।
সূত্র মারফত আরও জানা যায়, গৃহবধূ ২০২৪ দাখিল পরীক্ষায় দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলে মাদ্রাসা সুপার ও চেয়ারম্যান আব্দুল হালিমের সাথে সখ্যতা বেড়ে যায়।
গৃহবধূ মিমি জানান, একপর্যায়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল হালিম স্যার আমাকে মোবাইলে ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় এবং পরবর্তীতে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতে থাকে।
গৃহবধূর স্বামী ঢাকা থেকে আসার পর শতাধিক ক্ষুদে বার্তা তার নজরে আসলে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত আব্দুল হালিমকে ফুলবাড়ী বাজার মসজিদ থেকে ইমাম পদে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
এদিকে ভুক্তভোগী গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জামায়াত নেতার পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার কারনে মিমির সাথে তার স্বামী সংসার করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন, সম্পূর্ণ ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার।
দেবীগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, দলীয় তদন্ত এখনো চলমান, তদন্তে যদি সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে উপজেলা আমীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন জামায়াতে ইসলাম এমন একটি রাজনৈতিক দল যেখানে কেউ অনৈতিক কাজ কিংবা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের মত কাজ করে ছাড় পায় না।
দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও বর্তমান পঞ্চগড় জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ আবুল বাসার বসুনিয়া বলেন, আমরা ভুক্তভোগী গৃহবধূর সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও তার পরিবারের বাঁধায় কথা বলতে পারিনি ফলে আমাদের দলীয় তদন্ত বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবেঁ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।