বিমল কুমার রায়, দেবীগঞ্জ(পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ২ টি মন্দিরের ৪ টি প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের শালমারা কালী মন্দির এবং পাইকার পাড়ার ভদ্রকালী মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ঘটনায় এখনো কাউকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মন্দিরের সামনের রাস্তায় চলাচলকারী এক শিক্ষার্থী প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি দেখতে পেয়ে মন্দির কমিটিকে জানায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাইকার পাড়া ভদ্রকালী মন্দিরের কালীমূর্তি, শিবমূর্তি ও সন্যাসী ঠাকুরের মুর্তি ভগ্ন অবস্থায় উপুর হয়ে পড়ে আছে। এছাড়া মুর্তিগুলো হাত ও মুখমন্ডল ভাঙা অবস্থায় পড়ে ছিল। শালমারা পাড়া কালী মন্দিরটি আধাপাকা ঘর। মন্দিরটির গেট খোলা রয়েছে এবং সিমেন্ট দিয়ে বানানো কালী মুর্তির মাথার মুকুট, মুখমণ্ডল ও গলার মালা ভেঙে পড়ে আছে। এই মন্দির কমিটির সভাপতি মাধব চন্দ্র রায় জানান, মন্দির ঘরের দরজা তালাবদ্ধ ছিল। তালা ভেঙ্গে প্রতিমা ভাংচুর করে দূর্বৃত্তরা। মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, সকালে এসে তারা মন্দিরের গেট খোলা ও প্রতিমা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে দুইটি ঘটনাস্থলই পরিদর্শন করেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল আলম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মালেক চিশতি, এএসপি ( দেবীগঞ্জ সার্কেল) রুনা লায়লা, ওসি ইফতেখারুল মোকাদ্দেম। উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হরিশ চন্দ্র রায় বলেন, "প্রতিমা ভাঙচুর সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের কাছে অপরাধীদের খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।" দেবীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রুনা লায়লা বলেন, অপরাধীদের খুজতে আমরা তদন্ত অব্যাহত রেখেছি। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Posted ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta