বিমল কুমার রায়,
দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি:
অসহায় ও দু:স্থ মানুষের সেবায় নিরলস ও নি:স্বার্থ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পঞ্চগড়ের এস আলম ফাউন্ডেশন। উল্লেখ্য যে, পঞ্চগড় জর্জ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী প্রয়াত শামসুল আলম প্রধানের নামে গত দুই বছর আগে ফাউন্ডেশনটি গড়ে উঠে। অ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধান পঞ্চগড়ের সুনামধন্য আইনজীবী ছিলেন। আটোয়ারী উপজেলার তোরিয়া ইউনিয়নে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। গত ২০১২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর তার ছোট ছেলে আক্তারুল আলম প্রধান সবুজ এস আলম ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ, দু:স্থ মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় আর্থিক সহায়তা, অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন সেবামূলক ও জনকল্যাণমুখী কাজে নীরবে-নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, এস আলম ফাউন্ডেশনের মানবিক কার্যক্রম ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহলে প্রশংশিত হয়েছে। দিনাজপুরে অধ্যয়নরত দুই জন হাফেজ শিক্ষার্থী এবং বুয়েটে অধ্যয়নরত বিষ্ণু চন্দ্র দাস ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে অধ্যয়নরত সবুজ রায়ের পড়াশোনার সম্পুর্ন দায়িত্ব নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসের পড়াশোনার খরচ, থাকা খাওয়া, পোশাকসহ সকল ব্যয় বহন করা হয় ফাউন্ডেশন থেকে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষ্ণু চন্দ্র দাস এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত সবুজ চন্দ্র রায় উভয়েই বলেন, ‘ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আক্তারুল আলম প্রধান (সবুজ) স্যার না থাকলে আজ আমি এখানে পড়তে পারতাম৷ না। যখন ভর্তি ফি’র অভাবে আমি ভর্তি হতে পারছিলাম না, ঠিক তখনই দেবদূতদের মতো ঐ মানুষটি আমার পাশে দাড়িয়েছে। তিনি আমার পড়াশোনা, থাকা-খাওয়ার যাবতীয় খরচ বহন করেন।’ বিষ্ণু চন্দ্র দাস দেবীগঞ্জ উপজেলার শিবের হাট এবং সবুজ রায় এর বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের শালমারা গ্রামে।
এছাড়াও চলমান শৈত্য প্রবাহে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তায় ক্ষেত্রেও কাজ করেছে এস আলম ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আক্তারুল আলম প্রধান (সবুজ) বলেন ‘ আমরা গরীব, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করছি। এসব ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের দুই কর্মকর্তা সফি আহম্মেদ ও সাইফ আহম্মেদ আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এসব মানবিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাই।
Posted ১:৪০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta