নিজস্ব প্রতিনিধি: তরমুজ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার চাষীরা। এ মৌসুমে বিভাগের ছয় জেলায় ৫৪ হাজার ২ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, যা গত বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ হাজার ৪৫১ হেক্টর। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয় ৬৪ হাজার ১৮৩ হেক্টরে। উৎপাদন হয়েছিল ২৭ লাখ ২৪ হাজার ৩৩০ টন। এরই মধ্যে আবাদ হয়েছে ৩৬১৮ হেক্টর জমিতে। এখনো চলমান রয়েছে চাষাবাদ, যা আরো বাড়বে বলে দাবি বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত বরিশাল জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াই ৯৪২ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এছাড়া পিরোজপুরে ১২০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এখন পর্যন্ত চাষ হয়েছে ১৮ হেক্টরে। ঝালকাঠিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৪০ হেক্টরে। পটুয়াখালীতে লক্ষ্যমাত্রা ২৮ হাজার ৭৪৫ হেক্টরের বিপরীতে চাষ হয়েছে ১ হাজার ৯৫৬ হেক্টরে। বরগুনা জেলায় ১৩ হাজার ৮৩৮ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছে ৬১৫ হেক্টরে। ভোলায় ১১ হাজার ২৪৯ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছে ১৫ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে। বিভাগে সবচেয়ে বেশি তরমুজ চাষ হয় ভোলা ও পটুয়াখালীতে।
এবার বরিশালের ১০ উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৯৫, বাবুগঞ্জে ১, উজিরপুরে ১, বাকেরগঞ্জে ৬৫০, গৌরনদীতে ২, মুলাদীতে ২৫, হিজলায় ১০, মেহেন্দিগঞ্জে ১০ ও বানারীপাড়ায় ২ হেক্টর জমিতে এরই মধ্যে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষক। চাষ আরো বাড়বে বলে দাবি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশালের আঞ্চলিক অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কৃষি বিভাগের সহায়তা ও পরামর্শে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় কৃষকরা তরমুজ চাষ করছেন। কম খরচে ভালো ফলনের মাধ্যমে লাভবান হওয়ায় তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে। জমি তৈরি থেকে মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রায় চার মাসের মতো সময় লাগে। এছাড়া তরমুজ উচ্চফলনশীল হওয়ায় অনেকেই পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেছেন। আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে তরমুজ চাষের মাধ্যমে বরিশাল অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে। তবে প্রণোদনার ব্যবস্থা না থাকলেও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।’
Posted ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta