বিপুল ইসলাম আকাশ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রবাসী ভাগ্নিদের টাকা ও স্বর্ণ অলংকার লুটিয়ে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মামা নুর আলম সরকারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির করা হচ্ছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল ১১ ঘটিকার দিকে উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের সুবর্ণদহ (গাবেরতল) গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করে মামার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন ওই গ্রামের মো. সুরুজ্জামান মিয়া ও জাহানারা বেগম দম্পতির মেয়ে শিরিনা আক্তার। অভিযুক্ত নুর আলম সরকার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও শিরিনা আক্তারের আপন মামা। লিখিত বক্তব্যে শিরিনা আক্তার বলেন, আমরা তিন বোন জীবিকার তাগিদে বাবা-মা ও তিনবোনকে দেশে রেখে প্রবাসে পাড়ি জমাই৷ জর্ডানে থেকে আমরা তিনবোন প্রতিমাসে তাদের কাছে টাকাপয়সা পাঠিয়েছি। আমার মা জাহানারা বেগমের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মামা নুর আলম সরকার ওরফে টেম্পু আলম হাতিয়ে নেয়। এভাবে আমার মামা পনের লাখ টাকা ও পাঁচভরি স্বর্ণ বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে নিজের কব্জায় রেখে দেয়। আমি প্রবাস থেকে বাড়িতে এসে আমার মামার কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি নানা অযুহাত দেখিয়ে টাকা দিতে বিলম্ব করতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি ১০ লাখ টাকার পাট ক্রয় করে আমাদেরকে দেন। আর বাকি পাঁচ লাখ টাকা ও স্বর্ণ একসপ্তাহ পর ফেরত দিতে চায়। কিন্তু আজ অবধি সেসব ফেরত দেয়নি। এমনকি আমাদের ক্রয় করা পাট নিজের দাবি করে আমাদেরকে বিক্রি করতে বাঁধা দেয় মামা টেম্পু আলম। পরবর্তীতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি আমাদের নামে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই পুলিশ বাবা ও ভগ্নিপতিসহ আমাকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠায়। এরপরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে পাটের গুদামে আগুন দিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। আমরা এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
শিরিনা আক্তার আরও বলেন, নুর আলম সরকার আমার মামা হলেও তিনি একজন দুর্ধর্ষ ব্যক্তি। তার নামে পুলিশ হত্যাসহ ৩০ টির অধিক মামলা রয়েছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। যেকোনো সময় আমাদের উপর আক্রমণের শঙ্কা করছি। তাই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমরা আমাদের প্রবাস জীবনের পরিশ্রমের টাকা ফেরত চাই। আমার মামা টেম্পু আলম বিচার চাই। সংবাদ সম্মেলনে শিরিনা আক্তার ছাড়াও তার মা জাহানারা বেগম, বাবা সুরুজ্জামান মিয়া, খালা, বোন ও মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।