

স্টাফ রিপোর্টার: গত সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ‘মাদকবাহী জাহাজের ওপর’ অন্তত দশটি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ধরনের হামলার বৈধতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই উঠেছে প্রশ্ন। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের সদস্যরা ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে ‘যুদ্ধ তৈরির’ অভিযোগ করেছেন। বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজকে অঞ্চলটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে তিনি সামরিক উত্তেজনার এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। খবর রয়টার্স।মাদুরো রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে আর কোনো যুদ্ধে জড়াবে না। কিন্তু এখন তারা নিজেরাই একটি নতুন চিরস্থায়ী যুদ্ধ তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। সেখানে পাঠানো হয়েছে যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। পেন্টাগনের দাবি, এই অভিযান মাদক পাচার রোধে পরিচালিত হচ্ছে।শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ক্যারিবিয়ান সাগরে এক নৌযানে বিমান হামলায় ‘ছয়জন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তিনি দাবি করেন, নৌযানটি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক অপরাধচক্র ট্রেন দে আরাগুয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল।গত সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ‘মাদকবাহী জাহাজের ওপর’ অন্তত দশটি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ধরনের হামলার বৈধতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই উঠেছে প্রশ্ন। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের সদস্যরা ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাবেক আইনজীবী ব্রায়ান ফিনুকেন বলেছেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক সঙ্কটের লক্ষণ। কংগ্রেসের যুদ্ধঘোষণার ক্ষমতা হোয়াইট হাউজের হাতে চলে গেছে। ২৫ জন ডেমোক্র্যাট সিনেটর সম্প্রতি হোয়াইট হাউজকে চিঠি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কোনো প্রমাণ ছাড়াই বিদেশী জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে কি না। অন্যদিকে রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পল বলেন, এ ধরনের হামলা চালাতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন। হোয়াইট হাউস বলছে, এটি কেবলই মাদকবিরোধী অভিযান। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষ্য—‘আমরা সমুদ্র নিয়ন্ত্রণে এনেছি, এখন স্থল অভিযানের কথা ভাবছি।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মন্তব্য করেছেন, ‘যদি মানুষ চায় নৌকাগুলো উড়ে না যাক, তবে তারা যেন যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাঠানো বন্ধ করে।সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে কোকেন কারখানা এবং মাদক পাচারের রুটগুলোয় হামলার বিষয়টি বিবেচনা করলেও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।

Posted ১১:৩২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta


