আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় চলমান হামলার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ করেছেন লাখো মানুষ। টানা চার মাসের বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ২৯ হাজার ফিলিস্তিনি।গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অবিরাম হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটি দক্ষিণ গাজার রাফায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হাজার হাজার মানুষ বিশ্বজুড়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন।
ফিলিস্তিনপন্থি পতাকা ও ব্যানার নিয়ে হাজার হাজার মানুষ স্পেনের মাদ্রিদের রাস্তায় মিছিল করে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানায়। রাজধানীর আতোচা ট্রেন স্টেশন থেকে কেন্দ্রীয় প্লাজা দেল সোল স্কোয়ার পর্যন্ত বড় ব্যানারের পেছনে মিছিল সমাবেশের মাধ্যমে এই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। সামনে থাকা ব্যানারে লেখা ছিলÑফিলিস্তিনের স্বাধীনতা। অনেকের কাছে থাকা প্ল্যাকার্ডগুলোয় ‘ফিলিস্তিনের জন্য শান্তি’ এবং ‘ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ উপেক্ষা করবেন না’ বলে লেখা ছিল। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের মন্ত্রিসভার অন্তত ছয় মন্ত্রী এদিনের এই বিক্ষোভে অংশ নেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন বামপন্থি সুমার দলের। তাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সমাজতান্ত্রিক দলের পরিবহনমন্ত্রী অস্কার পুয়েন্তে বিক্ষোভে অংশ নেন।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন (পিএসসি) অনুসারে, যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনেও বিক্ষোভ হয়েছে এবং সেখানে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। আয়োজকদের মতে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আকারের দিক থেকে শনিবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভটি শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। লন্ডনে বিক্ষোভ থেকে যেন সহিংসতা না ছড়ায় সেজন্য দেড় হাজারের বেশি পুলিশ কর্মকর্তা রাস্তায় নেমেছিলেন। মেট্রোপলিটন পুলিশের মতে, প্ল্যাকার্ড-সম্পর্কিত অপরাধ, কর্মকর্তাদের ওপর হামলা এবং মুখের আবরণ অপসারণ করতে অস্বীকার করার দায়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া সুইডেনসহ অন্যান্য দেশেও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে লোকেরা ইসরায়েলকে রাফাহ আক্রমণ না করার দাবি জানায় এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়। ইউগভের একটি জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এখন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করে।
Posted ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta