আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নির্বাচনের দিন পাকিস্তানজুড়ে মোট ৫১টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় মোট ১৭ জন নিহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১০ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য, ৫ জন সন্ত্রাসী এবং দুই জন বেসামরিক ছিলেন। এছাড়াও অন্তত ৩৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সামরিক বাহিনী।(৯ ফেব্রুয়ারি) জিও টিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবৃতিতে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের দিন পাকিস্তানজুড়ে মোট ৫১টি নির্বাচনী সহিংসতা বা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার অধিকাংশই ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে। নির্বাচন বানচাল করাই ছিল এ হামলাগুলোর মূল উদ্দেশ্য।’
এর আগের এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) জানায়, এসব হামলায় ১০ জন নিরাপত্তা বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীসহ ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩৯ জন। উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনের দিন দেশজুড়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যাপক হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র ছিল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর। কিন্তু গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেগুলোর বেশিরভাগই বানচাল করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
‘পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্টুভাবে পরিচালনা করতে দেশজুড়ে ১ লাখ ৩৭ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন শহীদও হয়েছেন।’
Posted ৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta