বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটী গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মামলার বাদীর বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নলিন চন্দ্র দাসের ১৪ শতক জমির সকল কাগজপত্রাদি ঠিক থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে ভোগ দখল করে আসছে তারই বাড়ির পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী প্রতিবেশী মৃত- নালু রাম দাসের ছেলে পঁচা রাম দাস। এবিষয়ে আদালতে আসামিদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। ওই মামলার জেরধরে আসামি পক্ষ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদীদের বসত বাড়িতে প্রবেশ করে ভাংচুর ও লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ দেয়। এ ঘটনায় নলিন চন্দ্র দাসের স্ত্রী গীতা রাণী বাদী হয়ে মৃত সনাতন দাসের ছেলে টগরু রাম দাস, তার দুই ছেলে নরেশ চন্দ্র দাস, হরেন চন্দ্র দাস, টগরু রাম দাসের স্ত্রী জামিনী রাণী ও মৃত নালু রাম দাসের ছেলে পঁচা রাম দাসকে আসামি আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন । এ বিষয়ে নলিন চন্দ্র দাস জানান, আমরা গরীব মানুষ, আমাদের জমির কাগজপাতি ঠিক থাকলেও আসামিরা জমিটি নিজেদের দাবী করে আসছে। আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে কোনঠাসা করে রেখে আমার পরিবারের প্রতি অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন করে। এরই একপর্যায়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে তারা আমাদের বসত বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি জানাই।
ক্ষতিগ্রস্ত গীতা রাণী জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন তিনি। মামলাটি আদালত চালমান রয়েছে। এর পর থেকে তাদের মধ্যে চলমান সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি-ধমকি দেন আসামিরা। এর জের ধরে গত ৯ তারিখে রাত ১ টা ৩০ মিনিটে তার বসতঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিয়ে সব পুড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। তবে এ সময় ঘরে লোকজন থাকলেও এলাকাবাসি চিৎকার ও দাউ দাউ আগুন দেখে ঘরের দরজা খুলে কোন রকম বেঁচে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত দেড়টার দিকে নলিন চন্দ্র দাসের বসত বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখে লোকজন। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, তা লোকজনের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুব আলম বলেন, এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।