
মোস্তাফিজার রহমান, দিনাজপুর:
দিনাজপুরে সার সিন্ডিকেটের বেড়াজালে দিশেহারা কৃষক,ইরি’র ভরা মৌসুমে সার নিয়ে দিশেহারা অনেক এলাকার কৃষক সার সংকটে বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের।সরকারি বি,সি,আই,সি সার ডিলার এবং বিএডিসি সার ডিলারদের কাছে সার সংকটের অজুহাত থাকলেও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সারের সংকট নেই। রোপনকৃত ইরি ধানের চারা বাঁচাতেই চড়া দামে সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের আবার সময় মত সার না দিলে ধানের ফলন ভালো হবে না বলে ও জানান কৃষক।এমনকি ডিলারের কাছ থেকেই সাব ডিলারা সার কিনে কৃষকের মাঝে চড়া দামে সার বিক্রি করার একধিক অভিযোগ।সারের কোন সংকট নেই,যথেষ্ট পরিমাণ সরবরাহ রয়েছে।শুধু কিছু অসাধু ডিলার আর খুচরা ব্যবসায়ীর কারনে কৃষকরা ঠিকভাবে সার পাচ্ছে না।তাই ফসল বাঁচাতে বেশি দামেই সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের।ডিলার থেকে খুচরা ব্যবসায়ী,খুচরা ব্যবসায়ী থেকে কৃষক পর্যায়ে মানি রিসিভের বালাই নেই।অনেক খুচরা ব্যবসায়ী দম্ভের সংগে বলে,আমরা ডিলারদের কাছে সার কিনলে তারা আমাদের মানি রিসিভ দেয় না,সে জন্য আমরাও কোথাও সার বিক্রি করলে মানি রিসিভ দেই না।এর অন্তরালে চলছে চড়া দামে সার বিক্রির মহোৎসব। এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলার আমবাড়ি ৭নং মোস্তাপুর ইউনিয়নের আমবাড়ি বাজারে অবস্থিত রিফাত ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী সাব ডিলার মোঃ কেনাল আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন,সার সংকটের কারণ যে সরকারি বি,সি,আই,সি ডিলার বা বিএডিসি ডিলার রয়েছে তারা সারগুলো পেলে আগেই বাইরে বিক্রি করে দেয়,এ কারণেই সরকারি ডিলারদের কাছে সবগুলো মিলিয়ে সার পাচ্ছে না কৃষক,এ কারণে সার সংকটের অজুহাত দেখায় সরকারি ডিলারা,সাব ডিলারদের কাছ থেকে চড়া দামে সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। কৃষকরা পাচ্ছে না কোনো মেমো,কেনো দেয়া হচ্ছে না মেমো সাব ডিলার কেনাল আলী কাছে এ কারণ জানতে চাইলে সাব ডিলার কেনাল আলী বলেন আমরাও কোথাও থেকে সার কিনলে সারের মেমো পাই না,তাই আমি সার বিক্রি করলে কাউকে মেমো দেই না।কৃষক বা দোকানদার কাউকে ও না।কৃষকদের মন্তব্য সরকারি ডিলারা যেখানে সার পায় না,সার সংকট দেখায়,সেখানে কেনাল আলীর মত সাব ডিলাররা শত শত বস্তা সার কিভাবে পায় এটাই প্রশ্ন প্রান্তিক পর্যায়ের একাধিক কৃষকের। কেনাল আলী আমবাড়ি থেকে সার দিনাজপুর সদরের কমলপুর মালিগ্রাম পাঁচকুড়,বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে অবাধে সার সরবরাহ করে আসতেছে।অথচ দক্ষিন কোতয়ালীতে কৃষকেরা প্রয়োজনাতুল্য সার পাচ্ছে না,বলে অভিযোগ করেন একাধিক কৃষক।আবার ইউরিয়া পেলেও ডিএপি,টিএসপি পটাশ চাহিদানুরুপ পাচ্ছে না।৬নং মোমিন পুর ইউনিয়নের কৃষকরা অভিযোগ করেন বি, সি,আই,সি ডিলারদের যে সারের পয়েন্ট রয়েছে সপ্তাহে দুদিন বন্ধ থাকে এ কারণে কৃষকদের হয় রানির শিকার হতে হয়,অগত্যা উপায় না পেয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া দামে সার কিনে ফসল রক্ষা করতে হচ্ছে কৃষকদের,কৃষকরা বলেন সার সিন্ডিকেটে ভরে গেছে এদের দমন না করা হলে কৃষক বাঁচবে না,আর কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ গড়বো সোনার বাংলাদেশ এভাবেই অনেকে মনের ভাব বক্তব্য করেন। সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কৃষকদের রক্ত চুষে খাচ্ছে সার সিন্ডিকেটের কতিপয় ব্যক্তি।এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক,এ বিষয়ে ৬নং মোমিন পুর ইউনিয়নের বিএস কমকর্তা আলতাবুর রহমান এর সাথে সার সংকট এবং কৃষক বেশি দামে সার কিন্তুেছেন,সাব ডিলাররা বেশি দামে সার বিক্রি করতেছে,তারা এ সংকটে সার কথায় পায় এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলে,সার সংকট নেই,কৃষকরা বলতে পারে,শুক্রবার এবং শনিবার একটু বন্ধ থাকে তাই কৃষকদের অভিযোগ। এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন একজন সাব ডিলার তার পয়েন্ট এলাকার কৃষকদের মাঝে সার বিক্রি করতে পারবে,এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় সার বিক্রি করতে পারবে না। এ বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখব যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।