আশিকুর রহমান রনি : পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রাইভেট সেন্টারে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বিদ্যালয়টির গণিতের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাসুদ পারভেজ আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই স্কুল ছাত্রীকে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন নিজের প্রাইভেট সেন্টারে পড়াতেন গণিতের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। ১৬ এপ্রিল দুপুরে ওই ছাত্রী প্রাইভেট সেন্টারে গেলে তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই স্কুল শিক্ষক। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই দিনই ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা পঞ্চগড় সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে বিপক্ষে আন্দোলন হয়। এদিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে মামলার কার্যক্রম। ঘটনার প্রায় ৫ মাসের মধ্যেই সাক্ষ্মীগ্রহণসহ বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আদালত বুধবার এই রায় প্রদান করেন। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামীপক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রায় ৫ মাসের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় হলো। আমরা সন্দেহাতিতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
Posted ৯:২১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta