আজ, বুধবার


২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শিরোনাম

মুরগির শেড তৈরি করেই চলছে ফারুকের সংসার

সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মুরগির শেড তৈরি করেই চলছে ফারুকের সংসার
সংবাদটি শেয়ার করুন....
বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ 
অপার সম্ভাবনার দেশে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে বেকারত্ব। যাহা প্রকট আকার ধারণ করে অনাগত সুন্দর ভবিষ্যত কে ঠেলে দিচ্ছে হুমকির মুখে। পেশা হিসেবে কাজ খুঁজে না পাওয়াকে বলে বেকারত্ব। আর এই বেকারত্ব ঘোচাতে করছেন মুরগির শেড তৈরির কাজ। বাঁশ দিয়ে মুরগির খাঁচা /শেড তৈরি করে অভাব মোচন করার করার চেষ্টা করেছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বাচোহাটি গ্ৰামের ফারুক মিয়া। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে করছেন মুরগির শেড তৈরির কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফারুক মিয়ার বাড়িতে পুরোদমে চলছে মুরগির শেড তৈরির কাজ। কাজে সহযোগিতা করছেন শ্রমিকরাও । কেউ বাঁশ কাটছেন, কেউ হাতুড়ি দিয়ে লোহা মারছেন আবার কেউবা মগ্ন রয়েছেন সুতা বাঁধতে। গ্রামের লেবু মিয়া জানান, প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বাঁশ কিনে আনা হয়। বাঁশের পাশাপাশি লোহা,সুতা, আরো কিছু সরঞ্জাম লাগে। প্রতিটি বাঁশ কিনতে হয় দাম অনুসারে। মুরগির শেড তৈরি করে পৌঁছে দেওয়া হয় খামারিদের বাসায়। শ্রমিকদের পারিশ্রমিক মিটিয়ে যা থাকে সেটা দিয়েই চলে ফারুক মিয়ার সংসার।
ফারুক মিয়া বলেন, বেকারত্ব সমস্যা সমাধান নিয়ে দুই বন্ধুর মুখোমুখি আলাপচারিতায় বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা। স্বাবলম্বী হতে শুরু করি মুরগির শেড তৈরির কাজ। প্রথম দিকে নিজেরা কাজ শুরু করলেও এখন কাজ করছে দশ জন শ্রমিক। তাদের পারিশ্রমিক দিয়েও সচ্ছল হওয়ার স্বপ্নে শুরু হয় তাদের পথচলা। আসতে থাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে শেড তৈরির কাজ। চুক্তিতে খামারিদের বাসায় গিয়ে ও করেন এই কাজ। তবে কাজের অভিজ্ঞতা জানা থাকলেও পুঁজি সংকটে পড়তে হয়েছে তাদের। তবুও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কথা ভুলে গিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় দৃঢ় প্রত্যয়ী দুই বন্ধু।
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১১:২১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ শাহ পরান হাওলাদার

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com