আবু জাফর, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলাধীন বাচোর ইউনিয়নের ঝাপড়টলা কাটাবাড়ি শ্মশানের ১০০টি গাছ, কালি মন্দিরের প্রতিমাসহ, ত্রিশাল কোটি দেবতার ৬ টি ধাম ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
গতকাল ৯ জানুয়ারি রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী সুবল রায় ও পলাশ চন্দ্র জানান, আমরা গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় পুকুর থেকে মাছে ধরে আসার সময় দেখি ৫ জন মিলে দা দিয়ে শ্মশানের গাছ কাটতেছিল এবং কোদাল দিয়ে প্রতিমা ও ধাম ভাঙচুর করছিলো। এ সময় বাধা দিতে গেলে আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখালে সেখান থেকে আমরা পালিয়ে আসি। এ বেপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও কাটাবাড়ি শ্মশান কালি মন্দিরের সভাপতি খগেন্দ্রনাথ বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় কয়েকজন মিলে কালি প্রতিমা, ১০০ গাছ, ৬ টি ধাম ও ৭ টি কবর ভেঙে ফেলেছে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।এ ব্যপারে বাচোর ইউপি চেয়ারম্যান জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখ জনক স্থানীয় ইউএনও, উপজেলার চেয়ারম্যান, এডিশনাল এসপি ও এসপি সার্কেল এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, দোষীদের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মন্দিরে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন, আমরা ঘটনাস্থল এসে ঘুরে দেখেছি। এই জমিটি নিয়ে দুটি পক্ষের মালিকানা দাবী নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। তবে তদন্তসাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আপাতত আমরা মন্দিরের ঘর নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে কিছু সহায়তা করবো। জানা গেছে এর আগে এই জমিটি ভাংবাড়ি এলাকার সামসুল হক, আব্দুল কালাম,আব্দুস সাত্তার, আব্দুস সামাদ ও মইজউদ্দিন নামে পাঁচ ভাই ২০০৫ সালে মাহেদা, মহিদুল নামে দুই ব্যক্তির কাছে দলিল মূলে ক্রয় করেন। এর পর এই পাঁচ ভাই ২০২২ সাল পর্যন্ত ভোগ দখল করেন। ২০২২ সালে হঠাৎ করে বাচোর ঝাপরটলি এলাকার খগেন চন্দ্র, সুরেশ ও সতেন চন্দ্রসহ কয়েকজন ওই জমিটি জবর দখলের চেষ্টা করে, রাতের অন্ধকারে মন্দির ঘর তুলে। এবং জমির খারজ বাতিলের জন্য রানীশংকৈল ভুমি অফিসে মিসকেস করেন। ভুমি অফিসে উভয় পক্ষকে কাগজপত্র দাখিল করতে বলেন।শামসুল ও তার পক্ষ কাগজপত্র দাখিল করেন অপর পক্ষে খগেনচন্দ্র ও তার পক্ষ উপযুক্ত কাগজপত্র দাখিল করতে না পারায় শামসুলদেরকে জমি চাষাবাদ করার অনুমতি দেন। কিন্তু তারা এখনো জমিতে যাননি এরই মধ্যে গতরাতে কি হয়েছে না হয়েছে তারা কিছুই জানেননা, তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমুলক বলে দাবী করেন।