লিটন কুমার রায়,
ব্যুরোচীফ, খুলনা
আগামী ৭ জানুয়ারি মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ খুলনার প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করলেন (আসন ১০২ )খুলনা ৪ থেকে স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী এসএম মোর্তজা রশিদী দারা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন আমার বড় ভাই প্রয়াত মোস্তফা রশিদী সুজা খুলনা ০৪ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন এবং এলাকার উন্নয়নের ব্যাপক অবদান রেখেছেন। আমি স্কুল জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর অদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র রাজনীতি সাথে যুক্ত হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি।স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জেল খেটেছি। গণতন্ত্রের মানস কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ঘোষনা বাস্তবায়নে অবোধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে এবং তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মীদের অনুরোধে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। বর্তমান সংসদ সদস্যের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলেন তিনি একজন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ কিন্তু তিনি অনেক ধনী এবং বড় ব্যবসায়ী হওয়ায় এলাকায় তিনি তেমন সময় দিতে পারেননি।সারাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উন্নয়ন করেছেন তা থেকে খুলনা ০৪ অসনের জনগণ বঞ্চিত হয়েছে। বঞ্চিত মানুষের কথা মাথায় রেখে আমি নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচনী পরিবেশ এবং আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপারে তিনি বলেন আইসৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস আছে আমার,তারপরও দিঘোলিয়া সদর ইউনিয়ন,গাজিরহাট ইউনিয়ন সহ আরো দুইটি ইউনিয়নের ১৭ টি কেন্দ্রকে অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকা দিয়েছেন। তিনি বলেন – বলতে গেলে সব কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু বিশেষ করে এই ১৭টি কেন্দ্র অতিরিক্ত জকিপূর্ণ কারণ এখানে যারা আমার বিরোধী প্রার্থীর নির্বাচনের দায়িত্বে আছেন তারা এক একজন বহু মামলার আসামি এমনকি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও আছেন। তাছাড়া কিছু কিছু অঞ্চলে রয়েছে মাদক সম্রাট।সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন আমার কর্মী সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি মারধর সহ বিভিন্নভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন আমার বিরোধী প্রার্থী। সংবাদ সম্মেলনে তেরখিদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যিনি (বিরোধী প্রার্থীর ভাগ্নে) সহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এছাড়া প্রার্থীর স্ত্রী যে কয়েকটি কলেজ ও স্কুলের সভাপতি সেই সব স্কুল কলেজের শিক্ষকরা চাপে পড়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারেন বলে তিনি বলেন। তিনি আরো বলেন স্থানীয় অনেক নেতাকর্মীরা আমার সাথে থাকায় তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ও মারধরের চেষ্টা করা হচ্ছে যাদের মধ্যে তিনজন ভুক্তভোগী উপস্থিত আছেন। তিনি বলেন আমাদের বিরোধী প্রার্থীর লোকেরা বলে বেড়াচ্ছে ভোট যেখানেই দিন না কেন জিতবো আমরা। ভোট গণনা হবে উপজেলায় সহ নানা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আমি পূর্ণ আস্থা রাখি যার ফলেই আমি আমার সমর্থক এবং ভোটারদের নিয়ে নির্বাচনকে উৎসবমুখর করার চেষ্টা করে যাচ্ছি সকল ভয় ভীতিকে উপেক্ষা করে আমি এগিয়ে যাবে।আমরা মুজিব সৈনিক শেখ হাসিনার কর্মী তাতে জীবন গেলে যাবে কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের এবং হস্তক্ষেপকারীদের কাছে মাথা নত করবো না। শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন একমাত্র মৃত্যু ছাড়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো না।
জনগণের শক্তিতে আস্থা রাখতে চাই
আস্থা রাখতে চাই মহান আল্লাহর প্রতি
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রার্থীর আপন ছোট ভাই এবং প্রধান এজেন্ট সহ তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।