
মোঃ আব্দুল আজিজ মারজান, বাহুবল (হবিগঞ্জ)
লাঙ্গলে ভোট দিলেও পাশ ভোট না দিলেও লাঙ্গল পাশ। হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি এমদাদুল হকের এমন বক্তব্য নিয়ে উপজেলা ও সোশাল মিডিয়া জুড়ে দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড় ।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ৬নং মিরপুর ইউনিয়নের লাকরী পাড়া জামে মসজিদে মুসল্লিদের সামনে এমন বক্তব্য দেন উপজেলার জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ডাঃ এমদাদুল হক সবুজ।
জানা যায়, হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে ডা. মুসফিক চৌধুরী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কা পাওয়ার পর সমঝোতার মাধ্যমে এ আসনে জাতীয় পার্টির এম এ মুমিন চৌধুরী বাবুকে লাঙ্গল প্রতীক দেওয়া হয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।
জাতীয় পার্টির এম এ মুমিন চৌধুরী বাবু’র নির্বাচন ব্যানারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও লাঙ্গলে ভোট দিলেও পাশ, ভোট না দিলেও পাশ এমন বক্তব্যর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়। এতে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের অন্যান্য প্রার্থীদের সমর্থিত ভোটের নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা চলছে ও ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।
এমন বক্তব্যে স্থানীয় ভোটাররা মনে করছেন লোক দেখানো ভোট হচ্ছে। এই নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কোনো আগ্রহ ছিল সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হওয়ায় অনেক স্থানীয় অনেক ভোটার মন্তব্য করে বলেন, দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ ছিল যে সুষ্ঠু একটা নির্বাচন হবে। কিন্তু যখন মানুষ শুনছে লাঙ্গলে ভোট দিলেও পাশ, ভোট না দিলেও পাশ, তখন ভোটারদের মধ্যেও একটা ভয় ঢুকে গেছে। মানুষ এখন ভাবছে, ভোট দিলেও না দিলেও লাঙ্গল পাস করবে। জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি এমদাদুল হক সুমনের ভাইরাল বক্তব্য শুনে এমন চিন্তা করে ভোটাররা হাট বাজারে আলোচনা ও সমালোচনা বেড়াচ্ছে যে, লোক দেখানো ভোট হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভাইরাল বক্তব্যর ও আলোচিত জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ডাঃ এমদাদুল হক সবুজ বলেন, ভাই আমি আমার ওয়ার্ড বাসীকে বলতে চেয়েছিলাম মুনিম চৌধুরী বাবু পাশ করলেও আপনাদের পাশে থাকবেন, পাশ না করলেও আপনাদের পাশে থাকবেন। ভুল বসত আমার এই কথা মিসটেক হয়ে গেছে। আমি লাইভে এসে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইব।