![](https://ganobarta.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মো: সফিকুল ইসলাম নাহিদ ,
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নাদামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম বেগম তার সন্তান ও মা কে নিয়ে স্কুলের শ্রেণিকক্ষ দখল করে ৫ বছর যাবৎ বসবাসের কথা সাংবাদিকদের কাছে নিজের মুখে স্বীকার করেছে। এতে স্কুলটির শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম বেগমের বাড়ি ময়মনসিংহ তিনি প্রথমে নাদামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। যখন থেকে তিনি প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পান করেন এরপর থেকেই দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রেণি কক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। স্কুলের ছুটি শেষে সব শিক্ষক বাড়ি ফিরলেও তিনি ফেরেন না। সেখানে রান্না-বান্না, গোসল করেন। আর কাপড় শুকাতে দেন স্কুলের বারান্দা ও ছাদের উপর। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় ৭৫৪ জন শিক্ষার্থী আছে স্কুলটিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম বেগম স্কুলেই থাকেন। প্রায়ই বারান্দা ও ছাদে প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম বেগম ও তার মেয়ে ও মা কে দেখা যায়। ছাদে সব সময় কাপড়-চোপড় শুকানোর জন্য দেখা যায়। আশপাশের অভিভাবকরা বলেন, প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম বেগম বাসা ভাড়া না নিয়ে স্কুলকে নিজের বসতবাড়ি বানিয়েছেন। তিনি আশপাশের এলাকায় ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু তা না করে আমাদের বিব্রত করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাদানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আমি প্রায় ৫ বছর যাবৎ এই স্কুলে বসবাস করি। আমার এখানে থাকার বৈধতা আছে। আর ২টি ক্লাস রুম মূলত প্রধান শিক্ষকের জন্য বানানো হয়েছে। একটি মহল এসব বিষয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে স্কুলের বদনাম করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।এব্যাপারে ‘স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খালেদ আহমেদ পাঠানের সাথে মটু ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিচিব করেননি। এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আপনারা অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে বলবো সরেজমিনে বিষয়টি দেখার জন্য। এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম বলেন, এবিষয়ে আপনারা অভিযোগ দায়ের করেন সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এব্যাপারে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে আমাকে এলাকার কয়েকজন জানিয়েছেন, পরে আমি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলি কিন্তু এখন পর্যন্ত ও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।