মুলাদী প্রতিনিধি : মুলাদীতে পারিবারিক কলহের জেরধরে এক গৃহবধুকে মারধর করায় গর্ভপাত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২০ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের পূর্বহোসনাবাদ গ্রামের হারেচ সরদারের স্ত্রী রিনা আক্তারকে মারধর করা হয়। হারেচ সরদারের তিন ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীরা মারধর করায় রিনা আক্তারের গর্ভপাত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হারেচ।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে হারেচ বাদী হয়ে ৬জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে রিনা আক্তারের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু টাকার অভাবে স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারছেন না বলে জানান হারেচ সরদার। থানার অভিযোগ থেকে জানা যায়, হারেচের তিন ভাই পিতার জমি থেকে বঞ্চিত করতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালায়। এতে তার স্ত্রী রিনা বেগম বাধা দিলে কলহের সৃষ্টি হয়। হারেচ সরদার জানান, কলহের জেরধরে ২০ আগস্ট বিকেলে রিনা আক্তারের সঙ্গে তার ভাই হিরণ সরদার, জসিম সরদার, মহসিন সরদার তুচ্ছ কথা নিয়ে ঝগড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে তিন ভাই ও তাদের স্ত্রীদের এলোপাতারি মারধরে রিনা আক্তার গুরুত্বর আহত হন। তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মুলাদী হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী মাইনুল হাসান বলেন, রিনা আক্তার ৮ সপ্তাহের বেশি সময়ের গর্ভবতী ছিলেন। তলপেটে আঘাতের ফলে তা নষ্ট হয়ে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় রোগীর জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এ ব্যাপারে হারেচের বড়ভাই মহাসীন সরদার ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরধরে কথার কাটাকাটি ও হাতাহাতিতে রিনা আক্তার অসুস্থ হয়ে পরেছিলো। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন, গৃহবধুকে মারধর করে গর্ভপাতের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ২:২০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta