আজ, বুধবার


১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শিরোনাম

মুলাদী আল-রাজী স্কুলে পিঠা উৎসব পালিত

বৃহস্পতিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মুলাদী আল-রাজী স্কুলে পিঠা উৎসব পালিত
সংবাদটি শেয়ার করুন....

মুলাদী প্রতিনিধিঃ বরিশালের মুলাদী উপজেলায় আল-রাজি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১ ফেব্রুয়ারী স্কুল মাঠে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঙালি ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের পিঠার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন। উৎসবে অংশগ্রহণকারি ১২টি স্টল রয়েছে চিতই পিঠা, দুধচিতই, ছিট পিঠা, পাক্কান পিঠা, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা,ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠাসহ ৯০ প্রকারের বাহারী রকমের পিঠা। পিঠা উৎসবে আশা দর্শনার্থী মার্জিয়া, কুলসুম, বিথী, আসিয়া, চাঁদনী, অনামিকা, সুখি, সীমা, প্রিয়াংকা, মারিয়া,নিপা, আছমা, তাসলিমা ও সুমা বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য স্কুলের অধ্যক্ষ মু. আব্দুল আহাদসহ কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়ে আল-রাজি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ মু. আব্দুল আহাদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃরেজাউল করিম। বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ সোলাইমানের
পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আরিফ হোসেন, স্কুলের উপদেষ্টা মোঃ নজিবুর রহমান ভূঁইয়া কামাল, প্রোভাষক মোঃ ইকবাল হোসেন, স্কুলের পরিচালক আঃ মোতালেব ও কবি
সাহিত্যিক আতিকুর রহমান মিরন। গ্রামবাংলা থেকে বিভিন্ন ধরনের পিঠা হারিয়ে যাওয়ায় আল-
রাজি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এই প্রথম পিঠা উৎসবের মধ্য দিয়ে গ্রাম বাংলার হাজার হাজার জনগণের
মাঝে পুরানো ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বক্তারা। আল-রাজি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের লেখা-পড়া, খেলা-ধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণে উপজেলায় বেশ সুনাম রয়েছে। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই হাঁটিহাঁটি পা পা করতে করতে ও পরীক্ষায়
ভালো ফলাফল করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে। শিক্ষার মানবৃদ্ধির জন্য স্কুলে ইংলিশ ভার্সনও চালু রয়েছে। বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। পিঠা-পায়েস সাধারণত শীতকালের রসনাজাতীয় খাবার হিসাবে অত্যন্ত পরিচিত এবং মুখরোচক খাদ্য হিসাবে বাঙালি সমাজে আদরণীয়। আত্মীয়স্বজন ও পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় ও মজবুত করে তুলতে পিঠা-পুলির উৎসব বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে পিঠা-পায়েস তৈরির ধুম শীতকালেই বেশি পড়ে। সবচেয়ে জনপ্রিয় পিঠা হচ্ছে ভাপা পিঠা। এছাড়াও আছে
চিতই পিঠা, দুধচিতই, ছিট পিঠা, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, মালপোয়া, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠা ইত্যাদি। বাংলাদেশে শতাধিক ধরনের
পিঠার প্রচলন রয়েছে। আমাদের হাজারো সমস্যা সত্ত্বেও গ্রামবাংলায় এসব পিঠা-পার্বণের আনন্দ-উদ্দীপনা এখনো মুছে যায়নি। পিঠা-পার্বণের এ আনন্দ ও ঐতিহ্য যুগ যুগ টিকে থাকুক বাংলার ঘরে ঘরে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:৫১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com