মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি: বরিশালের মুলাদীতে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে চার মাস ধরে নেই কোনো চিকিৎসক। ফলে ন্যূনতম সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলার খামার মালিকেরা। খামারের গরু-ছাগল অসুস্থ হলে স্থানীয় হাতুড়ে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হচ্ছে তাদের। এই সুযোগে বিভিন্ন এলাকার হাতুড়ে চিকিৎসকেরা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে ১জন প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে মাঠ সম্প্রসারণে ৩জন ও প্রাণী (স্বাস্থ্য) ১জন এবং ১জন এআই, ১জন প্রাণি মাঠ সহকারী (ভিএফএ), ১জন ডেসআরসহ ৯জনের জনবল থাকার কথা। কিন্তু মুলাদী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে বর্তমানে শুধু ১জন ভিএফএ রয়েছেন। গত বছর অক্টোবর মাসে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ও সার্জন মো. শাহপরান বদলী হয়ে গেছেন। এর পর কোনে চিকিৎসক উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে যোগদান করেননি। ফলে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাসহ ৬টি পদশূণ্য রয়েছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে তালিকার হিসেবে মুলাদী উপজেলায় ৩৬০টি গরু, ১৮২টি ছাগল, ১৭৮টি ব্রয়লার মুরাগী, ১টি লেয়ার মুরগী এবং ১৩২টি সোনালী মুরগী খামার রয়েছে। এছাড়া তালিকার বাইরেও প্রায় ২শত ছোট গরু, ছাগল ও মুরগীর খামার রয়েছে। এসব খামারে প্রতিনিয়ত গরু, ছাগল, মুরগীর রোগ দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন খামার মালিকেরা। কিন্তু তারা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় থেকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার গরু খামার মালিক মো. মাকসুদুর রহমান জানান, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে চিকিৎসক না থাকায় কোনো সেবা পাওয়া যায়না। প্রাণি অসুস্থ হলে এলাকার হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হচ্ছে। এতে একদিকে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না অপরদিকে বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে।
এব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সুশান্ত দাস বলেন, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় প্রাণি চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। অল্প দিনের মধ্যেই মুলাদী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পদে জনবল দেওয়া হবে।
Posted ২:০৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta