মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি:
বরিশালের মুলাদীতে র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে প্রায় সাড়ে ২১ লাখ অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের চরকমিশনার (কাঠেরচর) এলাকায় এই অভিযান চালায় জেলা মৎস্য দপ্তর ও বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুব্রত বিশ্বাস দাস, বরিশাল জেলা দপ্তরের মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস, বাবুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলম হোসেনসহ র্যাব-পুলিশ সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, মুলাদী ও বাবুগঞ্জ সীমান্তে আড়িয়ালখাঁ নদে জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করেন। তারা অবৈধ জাল দিয়ে জাটকা ও রেনু পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধ্বংস করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শনিবার জেলা মৎস্য দপ্তর, বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন র্যাব পুলিশ নিয়ে হেলাল, বেল্লাল, রেজাউল, শাহাদাত, সিদ্দিক, মজিবুর, আজিজুল, নান্নু, চুন্নু, সরোয়ার হোসেনের বাড়িসহ ১২-১৩টি বাড়িতে অভিযান চালায়।
বরিশাল মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস জানান, দীর্ঘ দিন ধরে একদল জেলে আড়িয়ালখাঁ নদে অবৈধ কারেন্ট জাল ও বাঁধা জাল দিয়ে জাটকা ইলিশ শিকার করে আসছিলো। এসব জেলেরা মুলাদী উপজেলার চরকমিশনার কাঠেরচর এলাকার বাসিন্দা। শনিবার বেলা ১১টার দিকে র্যাব ও পুলিশ নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ১২-১৩টি বাড়ি থেকে প্রায় ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকার অবৈধ জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বাবুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলম হোসেন বলেন, জাটকা ইলিশ শিকার বন্ধে জেলেদের একাধিক বার সতর্ক করা হয়েছে। জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দিনে-রাতে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ইলিশ শিকার করেন। তাই অবৈধ জাল উদ্ধারে র্যাব-পুলিশ নিয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের সংবাদ পেয়ে জেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
বাবুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুব্রত বিশ্বাস দাস বলেন, কারেন্ট ও বাধা জাল দিয়ে ইলিশ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই অভিযান চালিয়ে জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অভিযান অব্যহত থাকবে।
Posted ২:৪৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta