মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি:
বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান কিংকংসহ ৫জনের বিরুদ্ধে গরু লুটের মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের মৃত মফছের হাওলাদারের ছেলে নান্নু হাওলাদার বাদী হয়ে এই মামলা করেন। বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম সুমাইয়া রিজভী মৌরী মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী আব্দুস সালাম। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ড. আসাদুজ্জামানের ভাই আজাদ হাওলাদার, বিপ্লব হাওলাদার, হিরণ হাওলাদার ও নবীন হাওলাদার। তাদের বিরুদ্ধে হামলা, বোমা বিস্ফোরণ এবং গরু লুটের অভিযোগ করেছেন বাদী নান্নু হাওলাদার।
নান্নু হাওলাদার জানান, ‘ড. আসাদুজ্জামান ও তার ভাইয়েরা জোড়পূর্বক আমাদের জমি দখল করে নিয়েছেন। ওই জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাদের একাধিকবার অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে ধর্ণা দেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১টার দিকে আসাদুজ্জামান ও তার ভাইয়েরাসহ ৮/১০জন লোক দা, শাবল, হাতবোমা নিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে এবং ঘর ভাঙচুর করে। আমার ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা ৪-৫টি হাতবোমার বিস্ফোরণ করে ১টি গাভী ও ১টি বাছুর নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা করা হয়েছে।’
এব্যাপারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. আসাদুজ্জামান কিংকং জানান, ‘গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে আমাদের বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আমার ভাই বিপ্লব বাদী হয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল আদালতে মামলা করেছিলেন। ওই মামলার আসামি নান্নু হাওলাদার পাল্টা মামলা করতে আমাদের বিরুদ্ধে গরু লুটের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া জানান, আদালতের নির্দেশণা পেলে যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
Posted ২:২৭ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta