স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত এক দম্পতির বিরুদ্ধে ল্যাব সংক্রান্ত অর্থ আত্মসাৎ, প্রশাসনিক অনিয়ম এবং প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট দম্পতি স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান একজন ফার্মাসিস্ট, যিনি কলসকাঠী ইউনিয়নে পোস্টেড হলেও নিয়মিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করছেন এবং তার স্ত্রী মারজানা আফরিন, যিনি উক্ত কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্ট হিসেবে কর্মরত। একই কর্মস্থলে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ল্যাব টেস্ট থেকে আদায়কৃত অর্থের হিসাব যথাযথভাবে রাজস্ব খাতভুক্ত করা হচ্ছে না। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতিদিন যে পরিমাণ রোগী থেকে ল্যাব ফি আদায় হয়, তার একটি বড় অংশ সরকারী খাতায় অন্তর্ভুক্ত না করে গোপনে আত্মসাৎ করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, কারণ তিনিও এই আর্থিক অনিয়মে নীরব সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
একজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকতে চান এবং জানান,
“মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী মারজানা আফরিন দীর্ঘ সময় ধরে একই স্থানে কর্মরত থাকায় স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছেন। বিশেষ করে মোস্তাফিজ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন, যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।” ফি জমা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়মিতভাবে বিকৃত করা হচ্ছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং প্রশাসনিক সুরক্ষার সুযোগ নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, এভাবেই গোপনে অর্থ সঞ্চয় করে তারা বরিশালের কালিজিরা এলাকায় পাঁচ শতাংশ জমি কিনেছেন, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।
স্থানীয় নাগরিক সমাজ ও সচেতন মহল বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, এ ধরনের অনিয়ম শুধু জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিই করছে না বরং প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে, এটি জনস্বার্থের বিরোধী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
Posted ৯:১৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta