মোঃ রায়হান মাহামুদ:
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় আহত ৫/৬জন, ৬ গাড়ী ও ৮ মোটরসাইকেল ভাংচুর। থানায় মামলা। আটক তিন। স্থাণীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাগরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউল ইসলাম অলি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে স্থাণীয়রা দীর্ঘদিন যাবৎ নানাভাবে অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তুচ্ছ কোন ঘটনা হলেই চেয়ারম্যানের লোকজন সাধারণ জনগনের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।
গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাগরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউল ইসলাম অলি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করেন। আর পূর্বাচল এলাকার হরদী গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন ও তার ভাই মো. মাসুদ মিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করেন।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে পরাজিত করে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী বিজয় লাভ করেন। তারই জের হিসেবে চেয়ারম্যান অলিউল ইসলাম অলি তার বাহিনী নিয়ে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নাগরী ইউনিয়নের হরদি বাজারে রাজিবের চায়ের দোকানে স্থানীয় মাসুদ মিয়া ও মোফাজ্জল হোসেন এর ওপর হামলা চালায়। এতে মাসুদ ও মোফাজ্জল আহত হয়। স্থাণীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাবেদ কায়সার মাসুদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ ঘটনা মুহুর্তে স্থাণীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের সাধারণ জনগণ একত্রিত হয়ে হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাতে চেয়ারম্যান অলীউল ইসলাম অলীর বাড়ী বড়কাউ এলাকায় যায়। খবর পেয়ে নাগরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দা-লাঠি নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। তারা রাস্তায় ও চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে থাকা ৬টি প্রাইভেট কার ও ৮টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। হামলার সময় উভয় পক্ষের ৫/৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে মো. মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে নাগরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অলীউল ইসলাম অলীকে প্রধান করে ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাতাব উদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যানের বাড়ীতে হামলার ঘটনায় ১১(২)২৪ নং মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনজনকে আটক করে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মোফাজ্জল হোসেন ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।