স্টাফ রিপোর্টার : উয়েফা তাকে ‘অন্ধকার সময়েও অসংখ্য শিশুকে আশা দেয়া এক প্রতিভা’ হিসেবে উল্লেখ করলেও তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছুই বলেনি। এ কারণে লিভারপুল তারকা মোহামেদ সালাহ প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন — ‘তিনি কীভাবে, কোথায়, এবং কেন মারা গেলেন তা কি বলতে পারেন?’ ইতালিতে পিএসজি ও টটেনহ্যামের মধ্যে সুপার কাপ ফাইনাল শুরুর আগে উয়েফা মাঠে একটি বড় ব্যানার প্রদর্শন করেছে। সেখানে লেখা ছিল—‘শিশু হত্যা বন্ধ করুন। সাধারণ মানুষ হত্যা বন্ধ করুন।‘ খবর ইএসপিএন।ফিলিস্তিনি ফুটবলার সুলেইমান আল-ওবেইদ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়ার পর উয়েফার ‘নামকাওয়াস্তে’ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের কারণে সৃষ্টি হয় তীব্র বিতর্ক। দক্ষিণ গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষারত বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন ‘ফিলিস্তিনের পেলে’ নামে পরিচিত আল-ওবেইদ। উয়েফা তাকে ‘অন্ধকার সময়েও অসংখ্য শিশুকে আশা দেয়া এক প্রতিভা’ হিসেবে উল্লেখ করলেও তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছুই বলেনি। এ কারণে লিভারপুল তারকা মোহামেদ সালাহ প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন — ‘তিনি কীভাবে, কোথায়, এবং কেন মারা গেলেন তা কি বলতে পারেন?’ মূলত সালাহর এই অবস্থানের পরই উয়েফার বিরুদ্ধে ওঠে সমালোচনার ঝড়। সালাহ এর আগে গাজার জন্য মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে কেন তিনি এত দেরিতে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন, তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন।ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বুধবার এক্স-এ দেয়া পোস্টে জানিয়েছে, ‘বার্তাটি স্পষ্ট ও জোরালো। একটি ব্যানার। একটি আহ্বান।‘
গত সপ্তাহে আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফুটবল প্যালেস্টাইন–এর প্রতিষ্ঠাতা বাসিল মিকদাদি বলেন, তিনি আশা করেননি যে সংস্থাটি এই সমালোচনার জবাব দেবে। তিনি বলেন, ‘উয়েফা এখনো কোনো ফলোআপ দেয়নি, আর সত্যি বলতে, তারা দিলে আমি অবাক হবো। মিকদাদি বলেন, আল-ওবেইদকে উয়েফার শ্রদ্ধা নিবেদন তাকে কিছুটা অবাক করেছে। তিনি বলেন, ‘সুলেইমান আল-ওবেইদ এই গণহত্যায় নিহত প্রথম ফিলিস্তিনি ফুটবলার নন। এর আগে ৪০০ জনেরও বেশি মারা গেছেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি নিঃসন্দেহে সবচেয়ে পরিচিত। উয়েফার নতুন ব্যানার কর্মসূচিতে মাঠে প্রবেশ করে ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, ইউক্রেন এবং ইরাক থেকে আগত নয়জন শিশু শরণার্থী। এটি উয়েফা ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেনের নতুন উদ্যোগের অংশ, যেখানে মেডেসাঁ দ্য মন্ড, ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস এবং হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনালের মতো সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্বে যুদ্ধপীড়িত শিশুদের সাহায্য করা হবে। উয়েফা জানিয়েছে, এই প্রকল্প গাজাসহ আফগানিস্তান, লেবানন, সুদান, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ইউক্রেনের সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সহায়তা দেবে।
Posted ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta