নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। (৩০ অক্টোবর) বিকেলে একদল লোক সবুজবাগ থানার ভাইগদিয়া এলাকায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রমজানের মৃত্যুর বিষয়টি রাত আটটায় নিশ্চিত করেছেন বুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন। তিনি বলেন, ‘রমজানকে পিটিয়ে মেরেছে একদল লোক। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব। পিটিয়ে হত্যার পরের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কালো টিশার্ট ও জিন্স প্যান্ট পরনে রমজানের নিথর দেহ পড়ে আছে একটি সরু গলিতে। তার মুখ ও মাথা থেতলানো। মাথার কাছে একটি সিমেন্টের ভারি বস্তু। প্যান্টের পকেট দিয়ে একটি মাস্কের ছোট অংশ বেরিয়ে আছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সিমেন্টের ওই ভারি বস্তুটি দিয়ে তার মাথা ও মুখ থেতলে দেওয়া হয়েছে। যদিও গণপিটুনিতে কারা উপস্থিত ছিলো তা জানা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সবুজবাগ ও বাড্ডা এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত ছিলেন রমজান। এলাকায় চাঁদাবাজি, কন্ট্রাক্ট কিলিং, অস্ত্রবাজী ও নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৩টিরও বেশি খুন ও অস্ত্র আইনে মামলা আছে। নানা ধরণের অপরাধ করে তিনি ভারতসহ অন্যান্য দেশে গিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকতেন। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আবার এলাকায় ঢুকে অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাচ্ছিলেন রমজান। এ কারণে তার প্রতিপক্ষ দলও তাকে কৌশলে মেরে ফেলতে পারেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছ, রমজান সর্বশেষ দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন ২০২১ সালে। সে সময় তার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলেন আতাউর রহমান ওরফে রাহাত ও মো. শামীম। রমজানের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৩টির অধিক খুন ও অস্ত্র আইনে মামলা আছে। রমাজনের নির্দেশেই ২০১৮ সালের জুন মাসে খুন হন বাড্ডার আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ। এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ফরহাদকে হত্যা করে রমজানের অনুসারীরা। এই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেয় তার ছোট ভাই সুজন, সহযোগী জাকির ও আরিফ। এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই সময় এসব জানিয়েছিলো ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
Posted ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta