স্টাফ রিপোর্টার : কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে তদন্ত শুরু করেছেন তারা। উদ্দেশ্য ছিল, স্টারলিংক কীভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এসব ‘স্ক্যাম সেন্টার’-এর সঙ্গে যুক্ত হলো, তা খুঁজে বের করা। মার্কিন কংগ্রেসের এ যৌথ তদন্ত কমিটি ইলোন মাস্ককে তলব করতে পারে। প্রয়োজনে তাকে সরাসরি সাক্ষ্য দিতেও ডাকা হতে পারে। ইলোন মাস্ক মালিকানাধীন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কোম্পানি স্টারলিংকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মিয়ানমারের ভয়াবহ অনলাইন প্রতারণা ও মানবপাচার কেন্দ্রগুলোয় স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ভিত্তিতে মার্কিন কংগ্রেসের একটি শক্তিশালী দ্বি-দলীয় কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান। কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে তদন্ত শুরু করেছেন তারা। উদ্দেশ্য ছিল, স্টারলিংক কীভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এসব ‘স্ক্যাম সেন্টার’-এর সঙ্গে যুক্ত হলো, তা খুঁজে বের করা। মার্কিন কংগ্রেসের এ যৌথ তদন্ত কমিটি ইলোন মাস্ককে তলব করতে পারে। প্রয়োজনে তাকে সরাসরি সাক্ষ্য দিতেও ডাকা হতে পারে।মিয়ানমারে সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলজুড়ে ‘স্ক্যাম সেন্টার’ দমনে ফেব্রুয়ারিতে অভিযান চালানো হয়। মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও চীনের যৌথ চাপের মুখে দেশটির প্রো-জান্তা মিলিশিয়ারা এসব প্রতারণা কেন্দ্র ‘উচ্ছেদে’ রাজি হয়। তখন প্রায় ৭ হাজার বন্দি মুক্তি পায়, যার অধিকাংশই চীনা নাগরিক। জাতিসংঘের তথ্যমতে, এসব কেন্দ্রে অন্তত এক লাখ ২০ হাজার শ্রমিককে জোরপূর্বক কাজ করেত বাধ্য করা হচ্ছে। প্রতারিত শ্রমিকদের অনেকেই বলেছেন, তাদের নির্দয়ভাবে মারধর করা হতো। প্রতিদিন দীর্ঘসময় ধরে অনলাইনে ভুয়া বিনিয়োগ, প্রেমের ফাঁদ বা টেলিকম প্রতারণা চালাতে বাধ্য করা হতো।এ তদন্তে অভিযানের সময় বিপুল সংখ্যক স্টারলিংক স্যাটেলাইট ডিশের সন্ধান পায় মিয়ানমার সরকার। এশীয় আঞ্চলিক ইন্টারনেট রেজিস্ট্রি এপনিক-এর তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারির পর মাত্র তিন মাসেই মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী হয়ে উঠেছে স্টারলিংক। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন সিনেটর ম্যাগি হাসান। মিয়ানমারের প্রতারণা চক্রগুলোয় স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে তদন্তের জন্য মার্কিন কংগ্রেসকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে মানুষরা যে প্রতারণার শিকার হচ্ছে, এর জন্য স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে—এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রসিকিউটর এরিন ওয়েস্ট বলেছেন, একটি মার্কিন কোম্পানি যদি মানবপাচার ও প্রতারণাকে সহায়তা করে, সেটা ভয়ঙ্কর বিষয়। তিনি আগেই স্টারলিংককে সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু কোনো জবাব পাননি বলেও দাবি করেন।মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এসব প্রতারণা চক্রের অন্যতম বড় লক্ষ্যবস্তু মার্কিনিরা। গত বছর দেশটির নাগরিকরা প্রতারণায় পড়ে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ৬৬ শতাংশ বেশি।
Posted ৯:১৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta