কুমিল্লা প্রতিনিধি:
অর্থ আত্মসাতের মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় গিয়ে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আফসারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা পরিদর্শনে আসেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি)ড.মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও তার সঙ্গে নিয়ে আসেন চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তি উপজেলার ভোলদীঘি কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা দেলোয়ার হোসেন তিনি কামিল পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন।এ ছাড়া কেন্দ্রে দায়িত্বরত এক নারী পুলিশ সদস্যকে নিয়েও বিরুপ মন্তব্য করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়। এ নিয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি)র নিকট নাঙ্গলকোট আফসারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ৬ মে কামিল পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। অনুসন্ধানে জানা যায়,গত ৬ মে প্রো-ভিসি ড.মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে চাদপুর যান,সেখান থেকে ভোলদীঘি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা দেলোয়ার হোসেনকে সাথে নিয়ে এসে লাকসাম পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে নাঙ্গলকোট আফসারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আসেন।মাওলানা দেলোয়ার হোসেন ভোলদীঘি কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া নাঙ্গলকোটের ঐ পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেন।শিক্ষার্থীদের সাথে অসাধাচরন করেন।পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা এক নারী পুলিশ সদস্যের ছবি পোস্ট করে লিখেন মাদ্রাসায় নারী পুলিশ ডিউটি করেছে বিষয়টি কেমন দেখায়।
নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রের ভিতর ছবি তোলা নিষিদ্ধ থাকলেও তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের ছবি তুলে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন এনিয়ে গতকাল শনিবার ইমেইল যোগে নাঙ্গলকোট আফসারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল আমিন ইসলামি আরবী বিশ্ব বিদ্যালয় ভিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ প্রসঙ্গে প্রো-ভিসি ড.আবুল কালাম আজাদের মোবাইলে অসংখ্য বার কল দিলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ভোলদীঘি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে কলদিলে সাংবাদিক পরিচয় দিলে লাইন কেটে দেন।অসংখ্য বার কল দিলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ইসলামি আরবী বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভাইস চেন্সেলর (ভিসি)প্রফেসর ড মুহাম্মদ .আব্দুর রশিদ বলেন,একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা বিশ্ব বিদ্যালয়ের নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন অধ্যাপক জানান,দূর্ণীতির দায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী হওয়ায় প্রো-ভিসি নৈতিকভাবে অযোগ্য হয়ে পড়েছেন।
Posted ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১২ মে ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta