মেহেদী হাসান: মতলব দক্ষিণ উপজেলার পাঁচ নং উপাদী উত্তর ইউনিয়নের পাঁচ নং ওয়ার্ডের মৃত মরহুম চান মিয়া প্রধানিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আবু বক্কর প্রধানিয়া কে, উত্তর উপাধি দক্ষিণ ডিঙ্গা ভাঙ্গা গ্রামের বাশেক মিজির ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান মিজি পাওনা টাকা ফেরত দেবে বলে ডেকে নিয়ে এক হাতের রগ কেটে,মাথায় কুপিয়ে এবং পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে নৃশংসভাবে হত্যার চেষ্টা করে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় মোহাম্মদ আবু বক্কর এর ছোট বোন খাদিজা বেগমের সাথে শাহজান মিজির ছোট ভাই মোঃ জসিম মিজির সাথে আট বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তখন সবার সাথে সবার ভালো সম্পর্ক ছিলো, সাহাজান প্রবাসে থাকাকালীন অবস্থায় আড়াই লক্ষ টাকা নেন তাকে ওই দেশে নেওয়ার জন্য। শাহজাহান দেশে আসেন এবং দেশ থেকে আবারো চলে যান , ইতি মধ্যে আবারো চলে আসেন কিন্তু বিদেশে নেওয়ার কোন নাম ছিল না, পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে আবু বকর টাকা ফেরত চান এবং তাদের উভয় পরিবারের সকলেই বিষয়টা জানেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার মোহাম্মদ আবু বক্করকে তারই আপন ছোট বোনের ভাসুর মোহাম্মদ শাহজাহান মিজি পাওনা টাকা দিবে বলে, তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। আবু বক্কর ঢাকা থেকে সরল মনে শুক্রবার চারটার মধ্যেই সরাসরি শাহজাহানদের বাড়িতে চলে আসে এবং তারা সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করে। টাকা দেবে বলে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলে। আবু বকর সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে এবং মাগরিবের নামাজের পরপর শাহজাহান তার বেয়াই আবু বক্করকে চা খাওয়ার কথা বলে এক সাথে দোকানের দিকে যায়, কিন্তু দোকানে না নিয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে পার্শ্ববর্তী এক জঙ্গলে নিয়ে আসে, সেখানে যাওয়ার পর শাহজাহানের স্ত্রী সারমিন বেগম এবং ওত পেতে থাকা আরো কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে ঘিরে ফেলে মারধর করে এবং তার এক হাতের রগ কেটে দেয়, টেস্টার দিয়ে মাথায় খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে শুধু তাতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা অবশেষে তার পুরুষাঙ্গ কেটে আলাদা করে ফেলে। স্থানীয় লোকজন জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাওয়ার উপস্থিতি টের পেয়ে আবু বক্করকে সেখানেই ফেলে রেখে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের মুমূর্ষ আবু বক্কর কে উদ্ধার করে তার ইউপি মেম্বারকে বিষয়টি জানান, সাথে সাথে ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ কামাল গাজী ও মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার, অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঠিয়ে দেন।বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। বিষয়টি নিয়ে মতলব থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরলেও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে স্থানীয় লোকজন প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও এই ঘৃন্ন নিশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।