নিজস্ব প্রতিনিধি: পিরোজপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. নাজমুল হাসান নাইম নামের ১১ বছরের পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ। (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের মো. শফিকুল আলম হাওলাদারের ছেলে। মামলা রুজুর পর থেকে নাঈম পলাতক ছিল। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালে পিরোজপুর শহরের সিআই পাড়া এলাকার মো: জাকির হোসেনের ছেলে পিরোজপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র সাদমান সাকিব প্রিন্স (১৪) ওই বছরের ২৯ আগস্ট নিখোঁজ হয়। ১ সেপ্টেম্বর সকালে শহরের সিআই পাড়া রায়ের পুকুরে প্রিন্সের লাশ ভেসে ওঠে। তিনি বলেন, ঐ ঘটনায় প্রতিবেশী দুই সহোদর মো. নাফিজ হাসান নাহিদ ও মো. নাজমুল হাসান নাইমসহ ৮ জনকে আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন প্রিন্সের বাবা মো. জাকির হোসেন সর্দার (লিটন)। মামলার বিচার শেষে আদালত মো. নাফিজ হাসান নাহিদ ও মো. নাজমুল হাসান নাইমকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নাহিদ কারাগারে থাকলেও নাঈম পলাতক ছিল।
পুলিশ সুপার জানান, আসামি নাঈম পলাতক থাকাকালীন প্রতারণায় দায়ে তার বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি প্রতারণার মামলা হয়। উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামীর নাম-ঠিকানা পিসিপিআর যাচাইয়ে ইন্দুরকানী থানায় অনুসন্ধান পাঠান। উক্ত অনুসন্ধান তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই মো. মুনসুর আলম অনুসন্ধানকালে জানতে পারেন আসামি ঢাকায় পলাতক আছে।
সাভার থানার রুজুকৃত মামলার বাদী মো. গিয়াস উদ্দিনের সাথে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ যোগাযোগ করে আসামির ছবি, মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। তখন ইন্দুরকানী থানা পুলিশ জানতে পারে আসামি নাঈম ছদ্ম নাম আরমান ব্যবহার করে সে তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।
পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তার ঢাকার ঠিকানা সংগ্রহ করে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন ১৬৬/২ মানিকদি এলাকা হতে ইন্দুরকানী থানা পুলিশের এএসআই মো. মুনসুর আলম ১১ বছর আত্মগোপনে থাকা আসামি মো. নাজমুল হাসান নাইমকে গ্রেফতার করেন।
Posted ১:০৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta