আজ, Friday


২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শিরোনাম

মুলাদীতে নববধূকে অপহরন করে ১৮ দিন আটকে রেখে ধ*র্ষ*ণ। থানায় মামলা দায়ের

শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫
মুলাদীতে নববধূকে অপহরন করে ১৮ দিন আটকে রেখে ধ*র্ষ*ণ। থানায় মামলা দায়ের
সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশালের মুলাদীতে এক নববধূকে অপহরণ করে ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া এলাকা থেকে ওই নববধূকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ১৩ জুলাই বিকেলে চরকালেখান মাদ্রাসা বাজার এলাকা থেকে নববধূকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জানান তাঁর অভিভাবকেরা। সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের করিম সরদারের ছেলে শরীফ হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা ওই নববধূকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ করেন নববধূর মা-বাবা। এ ঘটনায় নববধূর মা বাদী হয়ে ১৪ জুলাই মুলাদী থানায় মামলা করেন।
নববধূর মা জানান, বিয়ের আগে থেকেই শরীফ হোসেন প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মেয়ের সম্মতি নিয়ে গত ১০ জুন বিয়ে দেন। বিয়ের পরও কুপ্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন শরীফ। গত ১৩ জুলাই বিকেলে চরকালেখান মাদ্রাসা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শরীফ ও তাঁর সহযোগীরা জোড়পূর্বক নববধূকে তুলে নেন। ওই সময় নববধূর সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে শরীফ ওই দিন রাতেই জোর করে নববধূকে বিয়ের চেষ্টা করেন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শরীফ ১৮ দিন তাঁদের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করেন।

ঘটনার পরপরই শরীফ হোসেন অপহৃত নববধূর সঙ্গে সাজানো বিয়ের ঘটনার একটি ভিডিও জনৈক যুবকের কাছে পাঠান। ওই যুবক বিষয়টি নববধূর মা-বাবাকে জানালে তাঁরা অপহরণের বিষয়টি জানতে পারেন।
পরদিন ১৪ জুলাই নববধূর মা বাদী হয়ে শরীফ হোসেন, তাঁর বাবা করিম সরদার, মা মেলেনী বেগম, ভাই আরিফ সরদারসহ আটজনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় মামলা করেন।
মুলাদী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির হোসেনের নেতৃত্বে আজ বিকেলে চরমালিয়া এলাকা থেকে নববধূকে উদ্ধার করেন। এ সময় শরীফ, তাঁর মা-বাবা ও সহযোগীরা পালিয়ে যান বলে জানায় থানা-পুলিশ।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অপহৃত নববধূকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসিতে) পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তার এবং টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:১২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ শাহ পরান হাওলাদার

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com