নিজস্ব প্রতিবেদক: পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন আয়োজন করার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন চরমোনাই পীর এবং ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, সংস্কার, বিচার ও আনুপাতিক (পিআর) হারে নির্বাচনের দাবিতে আমরা এখানে একত্র হয়েছি। জুলাই অভ্যুত্থানকে আমরা অতীতের মতো ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার এখনই করতে হবে। পতিত স্বৈরাচারদের বিচার করতে হবে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে রচিত সংবিধান ছিল দেশের মানুষের গণাকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সেই সংবিধান রচিয়তাদের স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করার ম্যান্ডেটই ছিল না। তারা অন্য দেশের সংবিধানকে অনুসরণ করেছিল। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে।রেজাউল করীম বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতিক কলুষিত হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো সংবিধান মেনেই স্বৈরাচার তৈরি হয়েছে। এজন্য আমরা সংস্কারের প্রশ্নে অটল এবং অবিচল অবস্থান নিয়েছি। রাষ্ট্রের মূলনীতিসহ সংসদে উভয় পক্ষের পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের মতো ঐকমত্য না হলে গণ ভোটের আয়োজন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান লক্ষ্য ছিল দেশকে স্বৈরাচারের হাত থেকে রক্ষা করা। ৫৪ বছরের জমা হওয়া জঞ্জাল দূর করা। অভ্যুত্থানের পরে সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা মতামত দিয়েছি। এখন সংস্কার নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা চলছে। আমরা লক্ষ্য করছি মৌলিক সংস্কারে কেউ কেউ গড়িমসি করছেন। এটা জুলাইয়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। স্বৈরাচার তৈরীর রাস্তা খোলা রাখা যাবে না। সংস্কার না করে নির্বাচনের আয়োজন করে আবারো আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, পতিত স্বৈরাচারের কোন ক্ষমা নেই। যারা সরাসরি ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে হবে। যারা অপরাধের সহায়তা করেছে তাদেরও বিচার করতে হবে। বিচারের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হলেও পতিত সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রী এমপি এবং নেতারা এখনো জেলের বাইরে। অনেকে দেশের বাইরে থেকে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে ফ্যাসিস্টের সঙ্গে জড়িত সকলকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
Posted ২:৫৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta