আজ, বৃহস্পতিবার


২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজও চালু হয়নি চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম

বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
আজও চালু হয়নি চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম
সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্টাফ রিপোর্টার:

ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষের জেরে বৃহস্পতিবারও সেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখার যায় বৃহস্পতিবার সকালেও কোন সেবা কার্যক্রম চালু হয়নি।

এর আগে, কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে বুধবার সকাল থেকেই হাসপাতালের সব ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালেও তা চালু হয়নি।

হাসপাতালের কর্মচারী আশরাফুল আলম বলেন, বুধবারের সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীদের কেউ হাসপাতালে যাননি। এ কারণে কোনো কার্যক্রম চলছে না।

হাসপাতালটির কর্মচারীরা বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করলে সকাল ১০টার পর তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সেখানে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধা এবং চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা। দুপুরের দিকে সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বিকালের দিকে।

কর্মচারী আশরাফুল বলেন, তারা কাল আমাদের ডাক্তারদের মারছে, যারা গত ১১ মাস ধরে এদের চিকিৎসা দিছে। স্টাফদের মারছে, কয়েকজনের মাথা ফাটাইছে। রড, লাঠি, তাদের সবকিছু রেডি থাকে।

“তারা মারামারি করে, আবার পঙ্গু থেকেও আইসা যোগ দেয়। আমরা উপর থেকে নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কাজে যাব না।

সেলিনা বেগম নামে হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, তিনিসহ কয়েকজন নার্স সকালে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, তবে ফটক বন্ধ থাকায় ফেরত চলে এসেছেন।

সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখি গেইট বন্ধ। সিকিউরিটিরা গেইটে দাঁড়ায়া আছে, পুলিশও আছে। আমাদের ঢুকতে দেয় নাই, বলে হাসপাতাল বন্ধ। আমাদের মেট্রন ম্যাডামকে কল দিয়েছিলাম। তিনি একটা ট্রেনিংয়ে, এ কারণে কল ধরেননি হয়তো। পরে আমরা বাসায় চলে এসেছি।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, হাসপাতাল বন্ধ, কোনো কার্যক্রম চলছে না; এর বেশি ইনফরমেশন দিতে পারব না।

প্রসঙ্গত, উন্নত চিকিৎসা বা পুনর্বাসনের বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ তুলে গত রোববার চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার জুলাইযোদ্ধা বিষপান করেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তারা সহযোদ্ধাদের নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করেন।

প্রায় দেড় ঘণ্টা বাদে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি পান হাসপাতাল পরিচালক। এর মধ্যে আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ গায়ে কেরোসিন-পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।

পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং আহতদের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় নিরাপত্তার দাবিতে বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছিলেন হাসপাতাল কর্মচারীরা। এ অবস্থায় হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জুলাইযোদ্ধারা। পরে আহতদের সঙ্গে যোগ দেন বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ শাহ পরান হাওলাদার

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com