আফজালুর রহমান উজ্জ্বল :
হোসেনপুরে বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত ৯টার দিকে হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া-ঢাকা সড়কের নরসুন্ধা নদের উপর নির্মাণাধীন কাওনা সেতুর সংযোগ সড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জলসিড়ি পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৩৯১৪ নাম্বারের এ বাসটি ঘন কুয়াশার কারণে ডাইভারসেনে না গিয়ে সরাসরি চলে আসে। এতে বাসটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেও নারী-শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎধীন রয়েছেন। এর মধ্যে চার জনের হাত ভেঙ্গে গেলে তাদেরকে কিশোরগঞ্জ প্রেরণ করা হয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। পাকুন্দিয়া হোসেনপুর সড়কের অটোরিক্সা চালক শামসুল হক জানান ,এর মধ্যে এক মহিলার কোমরের হাড় ভেঙ্গে গেছে; তার শিশুসহ আরো তিন জনের হাত ভেঙ্গে গেলে তাদেরকে তিনি উদ্ধার করে হোসেনপুরে নিয়ে আসলে তারা সিএনজি করে কিশোরগঞ্জ চলে যান।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় স্থানীয় জাঙ্গালিয়া ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো:মজিবুর রহমান বকুল, দগদগা এলাকার মো:নজরুল ইসলাম,বিশ্বনাথ পুর এলাকার স্বপনসহ অন্তত ২০ জনের সাথে। তারা এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন; এ সেতুটি চার বছর ধরে কাজ করেও এখনো শেষ করতে না পারার কারণে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এখান দিয়ে চলাচল করা যানবাহনগুলোকে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে এখানে ২০২২ সালে দু’জনের মৃত্যু হলেও সেতুর কাজটি শেষ করছে না। নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতুর কাজ করা অবস্থায় সেখানে সর্তকতা মূলক সাইনবোর্ড ও নিরাপত্তার জন্য বেষ্টনী দেওয়ার কথা থাকলেও তা না করায় এরকম দুর্ঘটনায় প্রাণ হানীর শিকার হতে হচ্ছে। রাস্তার থেকে সেতুর সংযোগ স্থল অনেক গভীর হলেও সেটি অরক্ষিত থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় একাধিক দুর্ঘটার শিকার হতে হচ্ছে। এ ছাড়াও ডাইভারসন দিয়ে প্রতি দিন হাজারো যাত্রীকে চরম দুর্ভোাগ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বিশেষ করে পাকুন্দিয়া তারাকান্দি বাজারের সবজি বিক্রেতা ও পাককারি ব্যবসায়ীদের অটো রিক্সায় করে মালামাল ঊঠা-নামার সময়ে কয়েকজনকে ঠেলা ধাক্কা দিয়ে ওঠা নামা করতে হয়।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো:আমিরুল ইসলাম অপারগতা প্রকাশ করে জানান, সেতুর কাজ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আলম কনস্টাকশানের এ রকম অবহেলার কারণে তাদের আরো দু’টি কাজ বাতিল করা হয়েছে। এ সেতুর অল্প কাজ বাকী রয়েছে যে কারণে এটি বাতিল করতে হলে আবারো পুণ:টেন্ডার দিতে হবে যে জন্য আজ মঙ্গলবার আবারো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিককে ডেকে এনে দ্রত সময়ে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
Posted ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta