গণবার্তা রিপোর্টার : বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে মোট ১৬টি এফ-৭ বিজিআই সংগ্রহ করে। বর্তমানে বিমানগুলো আকাশ প্রতিরক্ষা, বহুমুখী সামরিক অভিযান ও পাইলটদের প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান এফ-৭ বিজিআই বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ১৯ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। চীনে তৈরি এ বিমানটি আগে থেকেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। খবর এয়ারোস্পেস গ্লোবাল নিউজ। বিধ্বস্ত হওয়া জেটটি এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট হালকা ওজনের যুদ্ধবিমান। যেটি চীনের চেংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশন (সিএসি) তৈরি করে। চীনে এটি চেংডু জে-৭ নামে পরিচিত। তবে রফতানির সময় যুদ্ধবিমান আমদানিকারকের চাহিদা অনুযায়ী এর নামকরণ হয় এফ-৭। এ সময় বিমানটি নামের সঙ্গে কিছু সংকেত ব্যবহার করা হয়। যেমন বাংলাদেশ এই সিরিজের যুদ্ধবিমান আমদানি করায় এফ-৭ এর পর ইংরেজি অক্ষর ‘বি’ যুক্ত হয়েছে। আর গ্লাস ককপিটের নকশার ক্ষেত্রে ‘জি’ এবং উন্নত সংস্করণ বোঝাতে ইমপ্রুভড এর ‘আই’ যোগ হয়েছে। এ সংস্করণের যুদ্ধবিমানে সম্পূর্ণ ডিজিটাল গ্লাস ককপিট, উন্নত রাডার ব্যবস্থা ও অ্যাভিওনিক্স (ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা) প্রযুক্তি থাকে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে মোট ১৬টি এফ-৭ বিজিআই সংগ্রহ করে। বর্তমানে বিমানগুলো আকাশ প্রতিরক্ষা, বহুমুখী সামরিক অভিযান ও পাইলটদের প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এয়ারোস্পেস গ্লোবাল নিউজ (এজিএন) বলছে, এই ধরনের জেট সারা বিশ্বেই আকাশ প্রতিরক্ষা, বহুমুখী অভিযান ও পাইলদের প্রশিক্ষণের জন্যও ব্যবহার হয়। তবে নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের চেয়ে এর দুর্ঘটনার হার বেশি। এর কারণ পুরনো নকশার এয়ারফ্রেম, সীমিত নিরাপত্তা ও আধুনিক ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অভাব। এভিয়েশনভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এফ-৭ কম স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধবিমান। তাই দ্রুত গতি এবং কম উচ্চতায় প্রশিক্ষণের সময় পাইলটদের বিশেষ মনোযোগের প্রয়োজন হয়।