নিজস্ব প্রতিনিধি: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বাংলাদেশের আম সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন হওয়ায় এ বছর বেশি পরিমাণ আম নেবে রাশিয়া। ৫০ টন আম নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেশটির। ফুলকপি, পেঁপে নিতেও আগ্রহী তারা। এছাড়া বাংলাদেশে সার রফতানি অব্যাহত রাখবে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার ।
আব্দুস শহীদ বলেন, রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা আমাদের বন্ধু হিসেবে আছে। আগামীতেও থাকবে। রাশিয়ায় আমরা আম, ফুলকপি, পেঁপে প্রভৃতি রফতানি করব। কৃষিপণ্যের গুণগতমানে যাতে কোনো সমস্যা যেন না হয় সেজন্য আমরা পরীক্ষা করব, পরীক্ষা করে সেগুলো রফতানি করব।
তিনি বলেন, দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বোরো মৌসুমে সারের কোনো সংকট হবে না।
এ সময় মন্ত্রী জানান, চলমান বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ইউরিয়া সারের সম্ভাব্য চাহিদা হলো ৮ লাখ ৮৬ হাজার টন, এর বিপরীতে বর্তমান মজুদ ও সম্ভাব্য পাইপলাইন মিলে মোট মজুদ হবে ১৩ লাখ ৫১ হাজার টন। একইভাবে টিএসপির ২ লাখ ৪১ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ হবে ৩ লাখ ৮৮ হাজার টন। ডিএপির ৩ লাখ ১৪ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ হবে ৪ লাখ ৭৬ হাজার টন এবং এমওপির ২ লাখ ২৩ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ হবে ৫ লাখ ২৭ হাজার টন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পণ্যের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেটি আমরা দেখব। চালের দাম বাড়লে তাতে মানুষের ওপর চাপ পড়ে। এ বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। মন্ত্রণালয় থেকে যেখানে যতটুকু সহযোগিতা দরকার সেটি করা হবে। আমরা চেষ্টা করব যেন দাম বেড়ে না যায় এবং কৃষকেরাও দাম পায়। আবার মজুদদারিও যেন না হয়। মজুদদারি এবং সিন্ডিকেট যাতে না হয়, সেদিকে সরকারের কঠোর নজর রয়েছে।
Posted ১:৩৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta