আজ, Thursday


৯ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বোয়িং ৭৩৭কে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এল এয়ারবাসের এ৩২০

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
বোয়িং ৭৩৭কে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এল এয়ারবাসের এ৩২০
সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্টাফ রিপোর্টার : ব্রিটিশ কনসালট্যান্সি প্রতিষ্ঠান সিরিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি বিমান সংস্থা ফ্লাইনাসের কাছে একটি এ৩২০ বিমান সরবরাহের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ২০২৫) এ মাইলফলক অর্জন করে এয়ারবাস। এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানা এয়ারলাইন সংস্থাকে এ৩২০ সিরিজের মোট ১২ হাজার ২৬০টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করেছে ইউরোপভিত্তিক এয়ারবাস, যা বোয়িং ৭৩৭ সিরিজের বহু দশকের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সরবরাহকৃত ন্যারোবডি জেটলাইনার হিসেবে বোয়িংয়ের ৭৩৭ সিরিজকে পেছনে ফেলে দিয়েছে এয়ারবাসের এ৩২০ সিরিজের উড়োজাহাজ। ব্রিটিশ কনসালট্যান্সি প্রতিষ্ঠান সিরিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি বিমান সংস্থা ফ্লাইনাসের কাছে একটি এ৩২০ বিমান সরবরাহের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ২০২৫) এ মাইলফলক অর্জন করে এয়ারবাস। এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানা এয়ারলাইন সংস্থাকে এ৩২০ সিরিজের মোট ১২ হাজার ২৬০টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করেছে ইউরোপভিত্তিক এয়ারবাস, যা বোয়িং ৭৩৭ সিরিজের বহু দশকের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। খবর রয়টার্স। সিরিয়ামের উড়োজাহাজ বাজার বিশ্লেষক রব মরিস রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে এয়ারবাস এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। এখন পর্যন্ত বোয়িং ও এয়ারবাস— এ দুই উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি মিলে মোট ২৫ হাজারেরও বেশি ন্যারো বড়ি জেট সরবরাহ করেছে। প্রথম দিকে এসব উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছিল বৈশ্বিক এয়ারলাইন খাতের বড় হাবগুলোর যাত্রী পরিবহনের জন্য। তবে পরে বাজেট এয়ারলাইনগুলোও ব্যাপকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহার শুরু করে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর আকাশ পরিবহনের চাহিদা কমে গেলে উৎপাদন কমিয়ে দেয় বোয়িং। আর এর সুযোগ নিয়ে জেট এয়ারলাইনারের বাজারে নিজের অবস্থানকে শক্ত করে এয়ারবাস।এয়ারবাস এরই মধ্যে বার্ষিক সরবরাহের হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার বোয়িংকে ৭৩৭কে পেছনে ফেলে যাত্রীবাহী ন্যারোবডি এয়ারলাইনারের বাজারে চার দশকের ট্রান্সআটলান্টিক প্রতিযোগিতায় নিজের শীর্ষ অবস্থানকে আরো পাকাপোক্ত করল এয়ারবাস। এয়ারবাসের এ৩২০ প্রকল্পটি চালু হয় ১৯৮৪ সালে। সে সময় সংস্থাটির পরের এক দশক টিকে থাকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছিলেন অনেকেই। সে সময় ওয়াইড বডি এয়ারলাইনারের বাজারে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়েছিল এয়ারবাস। তিন বছর পর ১৯৮৭ সালে এ৩২০ প্রথম আকাশে ওড়ে। সে সময় ফ্রান্সের তুলোঁ শহরে এয়ারবাসের প্রকৌশলীরা সাহসী এক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রথমবারের মতো কোনো বাণিজ্যিক উড়োজাহাজে কম্পিউটারনিয়ন্ত্রিত ‘ফ্লাই-বাই-ওয়্যার’ ফ্লাইট সিস্টেম চালু করেছিলেন তারা। প্রাথমিকভাবে এটি শ্রমিক ইউনিয়ন ও কিছু এয়ারলাইন কোম্পানির বিরোধিতার মুখে পড়ে। তবে পরে এ প্রযুক্তি উড়োজাহাজ শিল্পে মানদণ্ডে পরিণত হয়। বর্তমানে এয়ারবাস যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে তাদের উৎপাদন সম্প্রসারণ করছে।অন্যদিকে ১৯৬০-এর দশকে ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজ বাজারে আনার মধ্য দিয়ে ন্যারো বডি এয়ারলাইনারের বাজারে নতুন মান নির্ধারণ করে দেয়। দীর্ঘসময় দাপটে ব্যবসা করার পর ২০১৮ ও ২০১৯ সালের দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ। এতে কোম্পানিটি গভীর সংকটে পড়ে যায়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার শর্তসাপেক্ষে ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়াচ্ছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:০৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ শাহ পরান হাওলাদার

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com