গণবার্তা রিপোর্টার : যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ৮ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি ২০১০ সালের চিলির বিয়োবিও ভূমিকম্প এবং ১৯০৬ সালের ইকুয়েডর-কলোম্বিয়া ভূমিকম্পের সঙ্গে একই মাত্রায় রয়েছে।
হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও টেকটনিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হেলেন জ্যানিশেভস্কি বলেছেন, রাশিয়ার পূর্বাঞ্চল কামচাটকা উপদ্বীপে সংঘটিত আজকের ভূমিকম্পটি রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের ইতিহাসে ষষ্ঠ সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। আজ বিবিসির নিউজডে অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ৮ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি ২০১০ সালের চিলির বিয়োবিও ভূমিকম্প এবং ১৯০৬ সালের ইকুয়েডর-কলোম্বিয়া ভূমিকম্পের সঙ্গে একই মাত্রায় রয়েছে।
চিলির ভূমিকম্প সম্পর্কে ইউএসজিএস-এর ভাষায়— সমুদ্র উপকূলীয় শহর কুইরিহুর কাছে সংঘটিত ওই তীব্র ভূমিকম্পে ৫২৩ জন প্রাণ হারান এবং ৩ লাখ ৭০ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছিল।
আর ইকুয়েডর-কলোম্বিয়া ভূমিকম্পের বিষয়ে বলা হয়েছে— ভূমিকম্পটি একটি শক্তিশালী সুনামি সৃষ্টি করেছিল। যাতে মারা যান প্রায় দেড় হাজার মানুষ। সুনামির ঢেউগুলো পৌঁছেছিল সুদূর সান ফ্রান্সিসকো পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী পঞ্চম ভূমিকম্পটিও ঘটেছিল কামচাটকা অঞ্চলে, ১৯৫২ সালে। এটি ছিল বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম রেকর্ডকৃত ৯ মাত্রার ভূমিকম্প। সেই ভূমিকম্পে সৃষ্ট বিশাল সুনামি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ডলারের বেশি।বিশ্লেষকরা বলছেন, কামচাটকা অঞ্চলটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে হওয়ায় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
Posted ১২:১৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta