আজ, রবিবার


১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শিরোনাম

কৃষক দম্পতির উপর প্রতিপক্ষের হামলা, উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাল পুলিশ

রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
কৃষক দম্পতির উপর প্রতিপক্ষের হামলা, উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাল পুলিশ
সংবাদটি শেয়ার করুন....
কুমারখালী ( কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কুমারখালীর নান্নু (৪৫) হত্যা মামলার ১৯ নম্বর আসামি আমিরুল ইসলামকে (৬০) হাতুড়ি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করে দোকান ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এছাড়াও এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন (৪৫) কেও মারধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় পুলিশ। শুক্রবার ( ১১ জু্লাই) সন্ধায় উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত দম্পতি ওই গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ রাতে উপজেলার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে আমিরুল ইসলাম ওরফে নান্নুকে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। তাঁর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক। ঘটনার পরদিন নান্নুর ভাই জহুরুল ইসলাম কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, নেতাকর্মীসহ ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলার ১৯ নম্বর আসামি করা হয় কৃষক আমিরুল ইসলামকে। তিনিসহ অন্যান্য আসাসিরা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
 শুক্রবার সন্ধায় আমিরুল উত্তর চাঁদপুর বাজারে তরিতরকারি কেনাকাটা করতে গেলে প্রতিপক্ষের ১০ – ১৫ জন কিশোর তাকে হাতুড়ি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধরক মারপিট করে বাজারের জাহিদের মুদিদোকানে আটক করে রাখে। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গেলে তার স্ত্রী ইয়াসমিনকেও মারধর করে হামলাকারীরা। পরে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।শুক্রবার রাতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আহত দম্পতি আমিরুল ও ইয়াসমিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন দাঁয়িত্বরতরা।এ সময় আহত আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি কৃষক মানুষ। তবুও নান্নু হত্যায় ১৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫ মাস হল জামিনে আছি। শুক্রবার উত্তর চাঁদপুর বাজারে তরিতরকারি কিনতে গেলে প্রতিপক্ষের ১০ – ১৫ জন ছোট ছোট ছেলেপেলে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারপিট করে দোকানে আটকে রাখে। কিন্তু হামলাকারীদের চিনিনা আমি। তাঁর ভাষ্য, সারা শরীরে মারধর করা হয়েছে। চিকিৎসক মাথায় দুইটি সেলাই দিয়েছেন। মামলা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে। তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন বলেন, খবর পেয়ে স্বামীকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁরা আমাকেও মারধর করেছে। পরে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাঁর ভাষ্য, মামলার বাদী ও হামলাকারীরা বিএনপির লোক। নাম বললে এলাকায় টিকা দায়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নান্নু হত্যা মামলার আসামি জহুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে মারামারির কথা শুনেছি। কিন্তু আমাদের লোক এ ঘটনায় জড়িত নন।কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বলেন, খবর পেয়ে দোকানঘর থেকে আহত আমিরুল ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ শাহ পরান হাওলাদার

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com