![](https://ganobarta.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
লিটন কুমার রায়, ব্যুরোচীফ:
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান জেলা আ’লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং গোপাল বিড়ি,জাবুসা অটো রাইস মিলের সত্বাধিকারী শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল এর বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা,পরিবেশ দূষণ, এলজিইডির রাস্তা কেটে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি, ফসলি কৃষি জমির ক্ষতিসাধন,নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এলাকায় লুটতরাজ, মাদকসেবী,কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজদের আশ্রয়দাতা সহ একাধিক জনহিতকর মূলক অভিযোগ তুলেছে রূপসার জাবুসা এলাকাবাসী।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সাংবাদিক দুই ভাইয়ের নিজস্ব জমির উপর দিয়ে তার পোষা ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে গায়ের জোরে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হয়েও সাবেক ওসি তার নিজস্ব লোক থাকায় কোন প্রতিকারই তারা পাননি। তাছাড়া অভিযোগ রয়েছে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আশপাশের তার ক্রয়কৃত অধিকাংশ সম্পত্তিই কম টাকার বিনিময়ে ত্রুটিযুক্ত থাকা সত্ত্বেও তার দখলে নিয়েছে। তার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী অত্র অঞ্চলের এমন কোন অপরাধ নেই যে তাদের দ্বারা সংঘটিত হয় না। শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও মাদক ব্যবসায়ী রাজু বাহিনীর রাজুর পিতা অশিক্ষিত আবুল হাসান শেখ হত্যা মামলার আসামি সহ একাধিক মামলায় জড়িত থাকা সত্ত্বেও দু’জনকে তার প্রতিষ্ঠানের দারোয়ান বানিয়ে অবৈধ কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ বানানোর নেপথ্যে কারা? প্রশ্নে উঠে এসেছে শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুলের নাম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্সের সহায়তায় তিনি অদৃশ্য গডফাদার হিসেবে ইতিমধ্যেই চিনে গেছেন। এ বিষয়ে একাধিক পত্র পত্রিকায় জাবুসায় সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন সংবাদ প্রকাশ করায় শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল তার অদৃশ্য শক্তি দিয়ে তাকে বাড়ী ছাড়া এবং পরবর্তীতে ম্যানেজার পঙ্কজ রায়কে দিয়ে ০৮/০৪/২৪ ইং তারিখে উক্ত সাংবাদিকের নামে থানায় মিথ্যা জিডি করান। কিন্তু সকল তথ্য প্রমাণ পর্যালোচনা করে বিজ্ঞ আদালত গত১৫/০৫/২৪ ইং তারিখে মিথ্যা জিডিটি নামঞ্জুর করেন। এছাড়াও পরিবেশ দূষণ,জনদুর্ভোগ কৃষি জমির ক্ষতি সাধনের বিষয়ে একাধিক পত্র-পত্রিকায় তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলেও তার অদৃশ্য ক্ষমতায় ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়েছেন ঠান্ডা মাথার এই গডফাদার।
আরো জানা যায়, তিনি এলজিইডির ২ কিলোমিটার রাস্তা ৩ ফুট চওড়া ৪ ফিট গভীর খনন করে ১০ ইঞ্চি পাইপ স্থাপন করে হরি ঘোষের খালের পাশ দিয়ে নদীতে নিয়ে যান। যা উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও তার অদৃশ্য কালো শক্তির কাছে হার মেনে রহস্যজনকভাবে কোন ব্যবস্থাই তিনি নিতে পারেননি। সূত্র বলে তার মালিকানাধীন জাবুসা অটো রাইস মিলটিতে ধান সিদ্ধ করা পানি ও বিষাক্ত বর্জ্য এই পাইপ যোগে নদীতে পড়ে ব্যাপকভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীর। আশপাশের ফসলি জমির অধিকাংশ জমিতেই এই কেমিক্যাল যুক্ত পানি সরবরাহের কারণে ফসল হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে শ্রমিক ঠকানো ও শিশুশ্রম ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি যদি তার সন্তাসী বাহিনী দিয়ে এসমস্ত ভয়াবহ অপরাধ কর্মকাণ্ডের নৈপথ্যে থাকেন তাহলে একটি উপজেলার কর্ণধারের চেয়ারে বসে কিভাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনকল্যাণমূলক কাজ পরিচালনা করবেন এমনটাই প্রশ্ন অত্র এলাকার অসংখ্য ভুক্তভোগী পরিবারের। বর্তমানে জনগণ অনেক সচেতন তারা এমন ভন্ড বা স্বার্থান্বেষী কোন ব্যক্তিকে জনগণের সেবক হিসেবে দেখতে চায় না। এসব প্রশ্নের জবাবে শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল এর মুঠোফোনে কল দিয়ে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমি প্রোগ্রামের মধ্যে আছি। নিরিবিলি না হলে তো কথা বলতে পারছি না। পরক্ষণে তিনি জ্বী, হ্যাঁ, দাদা টেলিফোন–টেলিফোন–টেলিফোন–টেলিফোন মার্কা বলতে বলতে ফোনটি কেটে দেন। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে পরবর্তী প্রতিবেদনে বিস্তারিত আসছে।