আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ৭ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ২০০ জনে পৌঁছেছে। (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৮ হাজার ১৮৯ জনে পৌঁছেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এছাড়াও যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও রোববার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে গাজার একটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, শহরের পূর্ব দিকে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালানোর পর তিনজনের মরদেহ গাজা শহরের ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজা শহরের পূর্বে অবস্থানরত ইসরায়েলি বাহিনী শহরের কাছে কুয়েত গোলচত্বরের পূর্ব দিকে তাদের এলাকায় ফিরে যাওয়ার সময় একদল ফিলিস্তিনিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, নেটজারিম করিডোর থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করার পরে ফিরে আসা ফিলিস্তিনিরা তাদের এলাকাগুলো পরীক্ষা করার চেষ্টা করছিল, ওই করিডোর উত্তর গাজাকে দক্ষিণ গাজা থেকে আলাদা করেছে।
এছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বে আল-কারারায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে একজন বয়স্ক ফিলিস্তিনি নারীও নিহত হয়েছেন বলে মেডিকেল সূত্র জানায়।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে দুজন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আরও ২ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৬৪০ জনে পৌঁছৈছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, টানা ১৫ মাসের যুদ্ধের পর গত মাসেই ভূখণ্ডটিতে সংঘাতের অবসান হয়েছে এবং যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলা ও ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটল।
Posted ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta