আজ, Monday


৪ঠা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকার ৭ কলেজকে ৪টি স্কুলে ভাগ করে চলবে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম: শিক্ষা সচিব

সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
ঢাকার ৭ কলেজকে ৪টি স্কুলে ভাগ করে চলবে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম: শিক্ষা সচিব
সংবাদটি শেয়ার করুন....

গণবার্তা রিপোর্টার : আজ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব মজিবুর রহমান এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগরীর সাত কলেজকে চারটি স্কুলে (স্কুল অব সায়েন্স, স্কুল অফ আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, স্কুল অব বিজনেস স্টাডিজ এবং স্কুল অব ল এন্ড জাস্টিস) ভাগ করে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে’ পাঠদান ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব মজিবুর রহমান এ কথা বলেন। সাত কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ চালুর প্রক্রিয়া চার ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, স্কুলগুলোর পরিচয় হবে কলেজভিত্তিক। বিরাজমান বাস্তবতা ও সীমাবদ্ধতাকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন ধরনের কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন কাঠামোয় ৪০ শতাংশ অনলাইনে ও ৬০ শতাংশ অফলাইনে ক্লাস চলবে। সাবজেক্ট বদলানো যাবে তৃতীয় বর্ষে

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছে, সেটা মেনে নেয়া হয়েছে। তাদের জন্য যেটা সবচেয়ে ভালো হবে, সেটাই করা হবে। আমরা সুন্দর একটা সমাধানে যাব। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সব কলেজকে সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু ঢাকা কলেজ নয়, সবাইকে নিয়েই আমরা সবচেয়ে ভালো কিছু আশা করছি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাঁচটি কলেজে বিদ্যমান এইচএসসি পর্যায়ের পড়াশোনাও অব্যাহত রাখা হবে। থাকছে হাইব্রিড পদ্ধতিতে পাঠদান, ল্যাপটপ ও কম খরচে ইন্টারনেটের মতো নানা ব্যবস্থা। পুরনো শিক্ষার্থীরা আগের একাডেমিক কাঠামোতে তাদের পড়াশোনা শেষ করবেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা হবে ইন্টারডিসিপ্লিনারি ও হাইব্রিড ধরনের। সব ধরনের পরীক্ষা সশরীরে দিতে হবে। সব শিক্ষার্থী প্রথম চারটি সেমিস্টারে নন-মেজর কোর্স অধ্যয়ন করবে। পরবর্তী চার সেমিস্টারে ডিসিপ্লিন অনুযায়ী মেজর কোর্স অধ্যয়ন করবে।

পঞ্চম সেমিস্টার অর্থাৎ তৃতীয় বর্ষে শর্তপূরণ সাপেক্ষে শিক্ষার্থী ইচ্ছানুযায়ী ডিসিপ্লিন পরিবর্তন করতে পারবে। তবে ক্যাম্পাস পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে একাডেমিক কাউন্সিল, সিনেট ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। একজন প্রক্টর থাকবেন। এছাড়া প্রতিটি কলেজে একজন পুরুষ এবং একজন নারী ডেপুটি প্রক্টর থাকবেন। অর্থাৎ সাত কলেজে ১৪ জন ডেপুটি প্রক্টর থাকবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য কোথায় প্রশ্নের জবাবে ইউজিসি সদস্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম থেকে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত সবাই নন-মেজর কোর্স পড়বেন, এরপর সবার ডিসিপ্লিন নির্ধারণ হবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, নন-মেজর কোর্স করার পর নির্দিষ্ট মার্কস বেঁধে দেওয়া হবে, সেখানে ওই পর্যন্ত মার্কস পেলে সে হয়তো অ্যাকাউন্টিং পড়তে পারবে কিংবা ম্যানেজমেন্ট পড়তে পারবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে ধাপে ধাপে। খসড়া আইন অনুমোদন এবং অধ্যাদেশ জারির পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে উপাচার্য নিয়োগসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলবে।

এ সময় জানানো হয়, সবার জন্য সুবিধাজনক স্থানে প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস নির্ধারণ করা হবে। সাত কলেজের পাঁচটিতে পূর্বের ন্যায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় চালু থাকবে। স্নাতক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা টাইম, স্পেস ও রিসোর্স শেয়ারিং পদ্ধতিতে একই ক্যাম্পাস ব্যবহার করবে। বিভিন্ন পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পূর্বের বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামো অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম সমাপ্ত করবেন। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সময়মতো পরীক্ষা নেয়া, রেজাল্ট দ্রুত প্রকাশ করা, সেশনজট কমাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ দেয়া এবং কলেজগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়োগকৃতদের বণ্টন করা হবে। বাজেট গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে। প্রতিটি কলেজে থাকবে আধুনিক মানসম্পন্ন লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, মেডিকেল সেন্টার ও পরিবহন ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। প্রতি ডিসিপ্লিনে যৌক্তিকভাবে ছাত্র সংখ্যা নির্ধারণ করবে কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রথম বর্ষেই ল্যাপটপ ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী প্রদান করার ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ব্যবস্থা থাকবে। প্রশাসনিক কার্যক্রম (ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, আবেদন) আইটি বেজড ডিজিটাল সিস্টেমে সম্পাদিত হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা যে কোনো ধরনের অনুসন্ধান আইটি প্লাটফর্মের মাধ্যমে করতে পারবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:৩১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ শাহ পরান হাওলাদার

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com