বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
কয়েকদিন ধরে শীত। সূর্য্য দেখা যায় না। রাতে খুব ঠান্ডা লাগে। লেপও নেই আমাদের। কাঁথা জড়িয়ে থাকতাম আমরা। তাতে ঠান্ডা দূর হতো না। কম্বলটা পেয়ে ভালোই হলো। কাঁথার নীচে দিলে গরম লাগবে। সে কারণে ইউএনও স্যারকে ধন্যবাদ। আল্লাহ তাঁর পরিবারকে ভালো রাখুক। কম্বল হাতে পেয়ে খুশি হয়ে কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য ফলগাছা গ্রামের জাহানারা-মমতাজ কোরআন শিক্ষালয় কেন্দ্রের শিক্ষার্থী মোছাঃ মিম আক্তার।
আর এ কম্বল পেয়ে খুশি কেবলমাত্র তিনি একাই নন। বরং খুশি হয়েছেন ওই শিক্ষালয়ের ৫০ শিক্ষার্থী।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম শিক্ষালয়ে উপস্থিত হয়ে কম্বলগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়।
কম্বল পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থী মোছাঃ সাদিয়া আক্তার বলেন, কায়দা দিয়ে শুরু হয়েছে এখানে আমার পড়াশোনা। বর্তমানে কোরআন পড়ছি। কোনো টাকা পয়সা দিতে হয় না আমাদের। বইও কেনা লাগে না। তাঁর সাথে আবার কম্বল পেলাম। খুব খুশি আমরা। শীত নিবারনের তেমন কোনো ভারি জামা ছিলো না। এখন থেকে কম্বলটা জড়িয়ে আসতে পারবো এ শিক্ষালয়ে। ইউএনও স্যার এবং শিক্ষালয় কর্তৃপক্ষের নিকট আমরা কৃতজ্ঞতা।
আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোছাঃ নাজমা বেগম বলেন, ছেলের কাছে শুনেছি কম্বল দিবে। সে কারণে এসেছি। যাতে বাদ না যায় আমার ছেলে। কারণ কয়েকদিন ধরে শীতে জুবুথুবু অবস্থা। কম্বলটা ভিষণ কাজে লাগবে আমাদের।
জাহানারা-মমতাজ কোরআন শিক্ষালয় কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ ডাঃ মো. মমতাজ আলী বলেন, গত ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে এ শিক্ষালয় কেন্দ্রটি চলছে। শিক্ষকের বেতন থেকে শুরু করে সবধরনের সহযোগিতা আমরা পারিবারিকভাবে দিয়ে আসছি। সকালে বাচ্চারা ঠান্ডায় আসে। কয়েকদিন ধরে শীতও চলছে। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়ের সাথে শেয়ার করি। পরে উনি সংখ্যা জেনে নেন। ঠিক তার পরের দিনই সাতসকালে শীত ঠেকে কম্বল নিয়ে হাজির হন তিনি। শীতার্ত মানুষের জন্য অসাধারণ ভালোবাসা তাঁর। আল্লাহ উনাকে হেফাজতে রাখুক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ফ্রীতে কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়। বিষয়টি ভালো লেগেছে আমার। শোনামাত্র দেরি না করে কম্বল নিয়ে হাজির হই সেখানে। কাউকে খুশি করাতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে আমার। সেখান থেকে ভালো কাজগুলো করার চেষ্টা করি।