গণবার্তা রিপোর্টার: গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও বড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এ সংঘাত তেল, গ্যাস, খাদ্যশস্য সরবরাহ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসহ মৌলিক পণ্যগুলোর সমগ্র সরবরাহ চেইনকেও ব্যাহত করবে। গতকাল প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের (আইসিসিবি) ত্রৈমাসিক বুলেটিনের সম্পাদকীয়তে এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে।
সংঘাতটি ব্যাপক মানবিক দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে উল্লেখ করে সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে এর প্রভাব পড়ছে। এ সংঘাত এমন এক সময়ে শুরু হয়েছে, যখন এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মন্থর হতে শুরু করে। ইসরায়েলি সরকার পশ্চিম তীরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলে বা দখলকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলি বসতিতে কাজ করার অনুমতি দেয়া স্থগিত করেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাব অনুযায়ী, এর ফলে প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার মানুষ চাকরিচ্যুত হয়েছে। ইসরায়েলের কৃষি ও নির্মাণ খাত ফিলিস্তিনি এবং বিদেশী শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল। এরা কম বেতনে সেখানে চাকরি করে। তাদের পাশাপাশি হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীও যুদ্ধের কারণে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছে।
ত্রৈমাসিক বুলেটিনের সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রায় তিন মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত গণহত্যা, বিশেষ করে শিশু, নারী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বর্বর হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ২১ হাজার ৮২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ৫৬ হাজার ৪৫১ জন আহত হয়েছে। আকাশ ও স্থলপথে হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, আশ্রয়কেন্দ্রসহ আবাসিক বাড়ি এবং প্রায় প্রতিটি অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে ২০২৪ সালেও যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
আইসিসিবি মনে করছে, এ সংঘাত আরো বৃহত্তর অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যার প্রতিরোধ আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার সাফল্যের ওপরই নির্ভর করছে। তবে এটি নিশ্চিত যুদ্ধকবলিত অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী পুরোপুরিভাবে উন্মুক্ত অর্থনীতিগুলো নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির মুখে পড়বে। বিপর্যয় থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা এবং টেকসই স্থিতিশীলতা কঠিন হয়ে পড়বে।
Posted ১২:৫৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta