আজ, রবিবার


১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শিরোনাম

উদ্বোধনের পর পদ্মাসেতু থেকে আয় ১২৭০ কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী

বুধবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
উদ্বোধনের পর পদ্মাসেতু থেকে আয় ১২৭০ কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিনিধি: পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর অর্থাৎ গত ১৯ মাসে সেতু থেকে মোট ১ হাজার ২৭০ কোটি ৮১ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরে এক বছরেই (২০২৩ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত) আয় হয়েছে প্রায় ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা এবং মোট টোল আদায়ের গড় আয় হয়েছে ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। (৭ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য তুলে ধরেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির গর্ব ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা বহুমুখী সেতু (পদ্মা নদীর ওপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট বাংলাদেশে নির্মিত সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু)। যা ২০২২ সালের ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এবং একই বছরের ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেতু পারাপারকারী যানবাহন থেকে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট এক হাজার ২৭০ কোটি ৮১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া বছরে শ্রমশক্তির প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশের কর্মসংস্থান ঘটেছে। সারাদেশে দশমিক ৮৪ শতাংশ দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি- দক্ষিণাঞ্চলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সামগ্রিকভাবে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ট্রান্স এশিয়ান রেল ও সড়ক এ সেতুর মাধ্যমেই যুক্ত হবে। বাণিজ্য, শিল্পায়ন ও পর্যটন ত্বরান্বিত হবে। এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের আর্থসামাজিক জীবনচিত্র পাল্টে গিয়ে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বছরে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ দামের পণ্য ও সেবা উৎপাদন/রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এর ফলে জনসাধারণের আয় তথা ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে উন্নীত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১:৪৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com