আজ, বৃহস্পতিবার


২৬শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে ফের করোনার থাবা, এক সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়েছে ১২০০ শতাংশ

রবিবার, ০১ জুন ২০২৫
ভারতে ফের করোনার থাবা, এক সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়েছে ১২০০ শতাংশ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্টাফ রিপোর্টার:

ভারতে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। মাত্র এক সপ্তাহে দেশটিতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে ১২০০ শতাংশ। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৯৫ জন, যেখানে গত ২২ মে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫৭ জন।

রোববার (১ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্যগুলো হচ্ছে কেরালা, মহারাষ্ট্র ও দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতজুড়ে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৫ জন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২৭ মে) একদিনেই ভারতে ৬৮৫টি নতুন সংক্রমণ ও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে: কেরালায় ১৮৯ জনের মধ্যে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। রাজ্যটিতে মোট সক্রিয় রোগী ১ হাজার ৩৩৬ জন। এছাড়া মহারাষ্ট্রে ৪৬৭, দিল্লিতে ৩৭৫, গুজরাটে ২৬৫, কর্ণাটকে ২৩৪, পশ্চিমবঙ্গে ২০৫, তামিলনাড়ুতে ১৮৫ ও উত্তরপ্রদেশে ১১৭ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন।

অন্যদিকে, রাজস্থানে ৬০, পুদুচেরিতে ৪১, হরিয়ানায় ২৬, অন্ধ্রপ্রদেশে ১৭ ও মধ্যপ্রদেশে ১৬ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন ও সংক্রমণের মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা দিল্লি, কেরালা, কর্নাটক ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। দিল্লিতে মৃত রোগীর বয়স ৭১ বছর। তিনি করোনার পাশাপাশি নিউমোনিয়াতেও ভুগছিলেন।

কর্নাটকের ৬৩ বছরের কোভিড আক্রান্তের শরীরেরও নিউমোনিয়াসহ একাধিক রোগ ছিল। কেরালায় ৫৯ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। করোনার পাশাপাশি তিনি ফুসফুস সংক্রান্ত একাধিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

আর উত্তরপ্রদেশে ২৩ বছরের এক যুবকেরও মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ নিয়ে মোট ২৬ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হলো।

ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে কোভিড রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। আইসিএমআর প্রধান ড. রাজীব বেহেল বলেছেন, এই সাবভেরিয়েন্টগুলোই সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ।

তিনি জানান, সংক্রমণ প্রথমে দক্ষিণ ভারতে বেড়েছিল, পরে পশ্চিম ও এখন উত্তর ভারতেও ছড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতি সমন্বিত রোগ নজরদারি কর্মসূচির (আইডিএসপি) মাধ্যমে নজরে রাখা হচ্ছে।

ড. বেহেল আরও জানান, এখন পর্যন্ত সংক্রমণের তীব্রতা খুবই কম, তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তার মতে, কোভিড পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার সময় তিনটি বিষয় দেখা হয়। সেগুলো হচ্ছে: সংক্রমণ কত দ্রুত ছড়াচ্ছে। ভ্যাকসিন বা আগের সংক্রমণে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা কার্যকর এবং সংক্রমণ কতটা মারাত্মক।

তার মতে, এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ রোগী হালকা উপসর্গ নিয়ে সংক্রমিত হচ্ছেন, জটিল রোগীর সংখ্যা খুবই কম। তবে তিনি বলেন, সতর্ক থাকতে হবে ও প্রস্তুত থাকাই সবচেয়ে ভালো।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:৫৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০১ জুন ২০২৫

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ শাহ পরান হাওলাদার

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com