আজ, Sunday


২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের গুহায় রুশ মা ও দুই কন্যার জীবন, ঘনিয়ে উঠছে রহস্য কীভাবে বা কতদিন তারা সেখানে ছিলেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
ভারতের গুহায় রুশ মা ও দুই কন্যার জীবন, ঘনিয়ে উঠছে রহস্য কীভাবে বা কতদিন তারা সেখানে ছিলেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশ জানিয়েছে, গুহার প্রবেশপথ রঙিন শাড়ি দিয়ে ঢাকা ছিল এবং এক ছোট স্বর্ণকেশী মেয়েকে দৌড়ে বের হতে দেখে তারা ভেতরে যান। গুহাটি স্যাঁতসেঁতে ও অনিরাপদ হলেও কুটিনার ভাষায় তা ‘সুন্দর ও বড়’। কুটিনা জানান, সেখানকার পরিবেশে তার মেয়েরা আনন্দে ছিল। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের গোকর্ণা বনাঞ্চলের একটি গুহা থেকে রাশিয়ান নারী নিনা কুটিনা ও তার দুই কন্যাকে (বয়স ৬ ও ৫) উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৯ জুলাই রুটিন টহলের সময় পুলিশ তাদের খুঁজে পায়। বর্তমানে তারা বেঙ্গালুরুর কাছে বিদেশীদের জন্য নির্ধারিত একটি আটক কেন্দ্রে রয়েছেন এবং শিগগিরই তাদের দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসি। নিনা কুটিনা দাবি করেছেন, তারা প্রকৃতির মাঝে সুখেই ছিলেন এবং সেখানেই তাদের স্বাস্থ্য ভালো ছিল। তবে কীভাবে বা কতদিন তারা সেখানে ছিলেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, গুহার প্রবেশপথ রঙিন শাড়ি দিয়ে ঢাকা ছিল এবং এক ছোট স্বর্ণকেশী মেয়েকে দৌড়ে বের হতে দেখে তারা ভেতরে যান। গুহাটি স্যাঁতসেঁতে ও অনিরাপদ হলেও কুটিনার ভাষায় তা ‘সুন্দর ও বড়’। কুটিনা জানান, সেখানকার পরিবেশে তার মেয়েরা আনন্দে ছিল। উদ্ধারের পর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং তারা শারীরিকভাবে সুস্থ বলে জানানো হয়েছে। ভারতের অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, কুটিনা একজন রুশ নাগরিক এবং তার পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী তিনি ২০১৬ সালে ব্যবসায়িক ভিসায় ভারতে আসেন। ভিসার মেয়াদ ২০১৭ সালেই শেষ হয়ে গেছে। তিনি অতিরিক্ত সময় অবস্থান করায় ২০১৮ সালে তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তিনি পরবর্তীতে নেপাল ভ্রমণ করেন এবং বিভিন্ন দেশে ছিলেন বলে দাবি করেছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, তার চারটি সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে গোয়াতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় এবং এক পুত্র রাশিয়ায় রয়েছে। তার দুই কন্যাকে নিয়ে তিনি গুহাবাস করছিলেন। প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি আধ্যাত্মিক কারণে গুহায় ছিলেন। সেখানে হিন্দু দেবতা পাণ্ডুরঙ্গা ভিট্টালের একটি মূর্তি পাওয়া গেছে। কিন্তু কুটিনা বলেছেন, আধ্যাত্মিকতার জন্য নয়, বরং প্রকৃতির মাঝে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্যই তারা গুহায় ছিলেন।কুটিনা বলেন, ‘আমরা মরিনি, বরং ঝর্নায় সাঁতার কেটেছি, ছবি এঁকেছি, মাটি দিয়ে শিল্পকর্ম তৈরি করেছি, সুস্বাদু খাবার রান্না করেছি। তবে কুটিনা বর্তমানে যে আটক কেন্দ্রে রয়েছেন, সে সম্পর্কে অভিযোগ করে বলেন, ‘এটি একেবারে জেলের মতো। জায়গাটা ময়লা, খাবার যথেষ্ট নয় এবং আমরা একা থাকতে পারছি না। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে রাশিয়ান কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং নিনার প্রাক্তন সঙ্গী, ইসরায়েলি ব্যবসায়ী দ্রোর গোল্ডস্টেইনের খোঁজ পেয়েছে। দ্রোর গোল্ডস্টেইন জানিয়েছেন, কুটিনা তার অনুমতি ছাড়াই গোয়া ছেড়েছেন। এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয় ঠিক কখন কুটিনা ভারতে ফিরেছেন। তবে কিছু রিপোর্ট বলছে, তিনি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতে অবস্থান করছেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:৩৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ শাহ পরান হাওলাদার

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com