মোঃ রায়হান মাহামুদ: গাজীপুরের কালীগঞ্জে জোরপূর্বক সৌদি প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত জমির মালিকানা দাবী না করে হঠাৎ দলবল নিয়ে অন্যের জমি দখলে নেয় প্রভাবশালীরা। প্রবাসীর সূত্রে জানা য়ায, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গোল্লারটেক এলাকার আব্দুল মালেক ওঝা জামালপুর মৌজার আর এস ৪৮৮ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক হয়ে যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে ছিলেন। গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ইং তারিখে ৯৭৭৩ নং হেবার ঘোষণাপত্র দলিলের মাধ্যমে আব্দুল মালেক ওঝা তার সৌদী আরব প্রবাসী ছেলে মো. শহিদুল্লাহ ওঝার নিকট ২০ শতাংশ জমি হস্তান্তর করেন। মো. শহিদুল্লাহ্ জমির মালিকানা ও দখল বুঝে নিয়ে স্থাণীয় জামালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমি নিজ নামে নামজারী ও জমাভাগ করান। পরে জমিতে বাড়ী করার উদ্দেশ্যে মাটি ভরাট করেন। বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে গভীর নলকূপ স্থাপন করেন এবং জমির চতুর্দিকে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ শেষে মো. শহিদুল্লাহ্ সৌদী আরব চলে যান।
এলাকার প্রভাবশালী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এস এম আলমগীর হোসেন তার বাহিনী নিয়ে ওই জমি দখল করে নেয় এবং মো. শহিদুল্লাহ্ ওঝার নামে নামজারী (মিউটেশন) বাতিল করেন। মো. শহিদুল্লাহ এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট বারবার অভিযোগ করেও দখলকারীরা স্থাণীয় প্রভাব হওয়ার কারনে প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখলের বিষয়ে কোন প্রতিকার পায়নি। এমনকি এ বিষয়ে তাদের কেউ কোন দিন জিজ্ঞাসাও করার সাহস পায় নাই। বরং প্রবাসী ও তার পরিবার স্থাণীয় বিভিন্ন লোকদের নিকট অভিযোগ করায় প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি দিয়ে আসছে। সৌদি প্রবাসী মো. শহিদুল্লাহ ওঝা বাদী হয়ে বিজ্ঞ পঞ্চম সিনিয়র সহকারী জর্জ আদালত গাজীপুরে সাতজনের নাম উল্লেখ করে শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২৯৮/২১ নং মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে প্রতিবেশী সোহরাব হোসেন, ইব্রাহীম ও আব্দুল আজিজ সহ স্থানীয়রা জানান, এ জমি সিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ডীয় মালিক মুলত ওঝারাই। আব্দুল মালেক ওঝা ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে সৌদী প্রবাসী ছেলে মো. শহিদুল্লাহকে দলিল করে দেন। শহিদুল্লাহ জমির মাটি ভরাট করে বিদ্যুতের লাইন নিয়ে নলকুপ স্থাপন এবং চতুর্দিকে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করেছে। পরে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এস এম আলমগীর হোসেন প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক এ জমি দখল করেছে। অভিযুক্ত এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, এটি আমাদের জোত জমি। একশ বছর যাবত ভোগ দখলে রয়েছি। আমরা অংশ পেয়ে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছি। স্থাণীয় জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খায়রুল আলম দেশের বাহিরে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।