স্টাফ রিপোর্টার : মিন্স বলেন, ৭ অক্টোবরে এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে তারা হামাস জঙ্গিদের কাজকে মহিমান্বিত করছে বলে মনে হচ্ছে, গাজার পরিস্থিতির প্রতি সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছে না। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজনকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়া ও ইতালিতে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। হামাসের হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার ফলশ্রুতিতে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক হামলায় এ পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর রয়টার্স। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স সিডনিতে ‘স্ট্যান্ড ফর প্যালেস্টাইন অস্ট্রেলিয়া’ গ্রুপের একটি পরিকল্পিত সমাবেশের তীব্র নিন্দা করেছেন। হামাসের হামলার দিনটিতে সিডনির ব্যাঙ্কসটাউন উপশহরে ‘গ্লোরি টু আওয়ার মার্টার্স’ (আমাদের শহীদদের গৌরব) শীর্ষক এই ইভেন্টের আয়োজনকে মিন্স ‘ভয়ঙ্কর সময়, চরম অসংবেদনশীল’ বলে উল্লেখ করেছেন। মিন্স বলেন, ৭ অক্টোবরে এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে তারা হামাস জঙ্গিদের কাজকে মহিমান্বিত করছে বলে মনে হচ্ছে, গাজার পরিস্থিতির প্রতি সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছে না। তবে ফিলিস্তিনি অ্যাক্টিভিস্ট ও আইনজীবী রামিয়া আবদো সুলতান এক ভিডিওতে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের শোক প্রকাশ করতে দেয়া হচ্ছে না এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও গত দুই বছরে নিহত হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও বলেছেন, ৭ অক্টোবরের মতো দিনে যেকোনো প্রতিবাদ ফিলিস্তিনিদেরই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সরকার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলেও, ৭ অক্টোবরের হামলার পর অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ইহুদি বিদ্বেষী ও ইসলাম বিদ্বেষী ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মেলবোর্নে ‘গ্লোরি টু হামাস’ লেখা একটি বিলবোর্ড এবং ‘অক্টোবর ৭, আবার করো’ বার্তা দেয়া দেয়ালচিত্রকে আলবানিজ ‘ঘৃণ্য কাজ’ এবং ‘সন্ত্রাসী প্রচারণা’ বলে নিন্দা করেছেন। এদিকে, প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্সের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এর উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেয়ার কারণে তিনি প্রতিবাদী গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে ইতালিতেও। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর বোলোনিয়ার কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ফিলিস্তিনপন্থী একটি বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে। সম্প্রতি দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। ‘জোয়ানি প্যালেস্তিনেসি ইতালিয়া’ নামে একটি গ্রুপ বোলোনিয়া এবং তুরিনে এ বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছিল। বোলোনিয়ার স্থানীয় প্রিফেক্ট এনরিকো রিচি বলেছেন, রোমে সংঘর্ষের আশঙ্কায় এ সমাবেশ ‘পুরোপুরি নিষিদ্ধ’ থাকবে। তবে আয়োজক গোষ্ঠীটি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রতীকী সমাবেশ আয়োজনের চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে। ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জোনাথন পেলেড এই আয়োজন বাতিলের জন্য ইতালির কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
Posted ৮:০৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta