স্টাফ রিপোর্টার : স্কটল্যান্ডে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না ওরা (নেতানিয়াহু) কী বলেছে। কিন্তু ওসব শিশুদের দেখতে খুবই ক্ষুধার্ত লাগছে। এটা আসলেই দুর্ভিক্ষের মতো। গাজায় বর্তমানে ‘সত্যিকারের দুর্ভিক্ষ’ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মন্তব্য এলো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, যেখানে তিনি গাজায় দুর্ভিক্ষের কথা অস্বীকার করেছিলেন। খবর বিবিসি।
স্কটল্যান্ডে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না ওরা (নেতানিয়াহু) কী বলেছে। কিন্তু ওসব শিশুদের দেখতে খুবই ক্ষুধার্ত লাগছে। এটা আসলেই দুর্ভিক্ষের মতো।‘
ট্রাম্প মন্তব্যটি এমন এক সময় করলেন, যখন জাতিসংঘের মানবিক প্রধান টম ফ্লেচার সতর্ক করেছেন যে, ব্যাপক পরিমাণ খাদ্য সহায়তা ছাড়া গাজায় দুর্ভিক্ষ ঠেকানো যাবে না। ফ্লেচার বলেন, ইসরায়েলের তরফ থেকে সম্প্রতি কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যেমন- বিমান থেকে খাদ্য ফেলা ও সীমিত সময়ের জন্য সামরিক বিরতি। তবে এখন পর্যন্ত যা সরবরাহ হয়েছে, তা ‘সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো’। ইসরায়েল জানায়, রোববার প্রথমবারের মতো প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার স্থানীয় সামরিক বিরতি চলাকালে ১২০টি ট্রাকের পণ্য সীমান্ত থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৮টি খাদ্য প্যাকেট বিমান থেকে ফেলেছে। তবে ফ্লেচার বলেন, ওই দিন জাতিসংঘ মাত্র ১০০টির কম ট্রাক পেয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এ বছরের শুরুতে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির সময় গড়ে প্রতিদিন ৬০০-৭০০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করত। তিনি আরো জানান, গাজায় প্রবেশের পর বেশিরভাগ খাদ্যবাহী ট্রাক লুট হয়েছে ‘ক্ষুধার্ত সাধারণ মানুষের’ দ্বারা। এতে চালকদের জন্য পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে অত্যন্ত বিপজ্জনক। ইসরায়েলের অভিযোগ, সাহায্য পৌঁছাতে না পারার জন্য জাতিসংঘ দায়ী। কিন্তু ফ্লেচার পাল্টা বলেন, ‘আমরা চালানগুলোকে রাস্তায় ফেলে রেখে যাব না। তবে আমাদের চালকরা প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে। গাজা নিয়ন্ত্রিত হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পুষ্টিহীনতায় আরো ১৪ জন মারা গেছেন। ফলে অক্টোবর ২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত খাবারের অভাবে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪৭ জনের। তাদের মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।
Posted ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta