
মো: মানিক মিয়া, শেরপুর :
হযরত ফরিদ উদ্দিন শায়খে বালিয়া(রহঃ) জাহাঙ্গীরপুর বালিয়া ফুলপুর ময়মনসিংহে জন্ম গ্রহন করেন। শায়খের পিতা আল্লামা গিয়াস উদ্দীন(রহঃ) শায়খে বালিয়া।তিনি ছিলেন কুতবুল আলম শাইখুল ইসলাম হযরত সাইয়েদ হোসাইন আহমাদ মাদানী(রহঃ) এর বিশিষ্ঠ খলিফা। হযরত হাবিবুর রহমান রায়পুরী(রহঃ),হযরত নূর উদ্দিন গওহরপুরি(রহঃ) ছিলেন হযরত মাদানী (রহঃ) এর বিশিষ্ঠ ছাত্র ও স্নেহভাজন শিষ্য। যিনি দির্ঘদিন হযরত মাদানী (রহঃ) সুহবাতে ধন্য হয়েছে। হযরত হাবিবুর রহমান রায়পুরি (রহঃ) সর্বপ্রথম হযরত নুর উদ্দিন গওহরপুরি (রহঃ)কে খেলাফত করেন। এর পর বালিয়ার হযরত শায়খে বালিয়া (রহঃ) কেও খেলাফত প্রদান করেন। তারপর হযরত শায়খে গওহরপুরি (রহঃ)ও শায়খে বালিয়া হযরত গিয়াস উদ্দিন (রহঃ) কে খেফত প্রদান করেন। ফলে একথা বলা যায় হযরত মাওলানা ফরিদ উদ্দিন দা:বা: একটি ঐতিয্যবাহী দীনদার পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি নাজেরা ও হেফজ শেষ করেন জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলুম বালিয়া মাদরাসায়,তবে হিফজ শুনিয়েছে সিলেট দারুস সালাম মাদ্রাসায়। এরপর তিনি জামিয়া মালিবাগ এ কিছুদিন পড়লেও বালিয়া মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস শেষ করেন। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করে যথাক্রমে বালিয়া মাদ্রাসায় আট বছর শিক্ষকতা করেন এরপর টাঙ্গাইল জাগিরাছালায় তিন বৎসর, ঢাকা রামপুর মাদরাসায় দুই বৎসর শিক্ষকতা করেন, বর্তমানে তিনি বালিয়া মাদরাসায় খেদমতে রয়েছেন। এরপর সুলুকের লাইনে প্রথমে তিনি আল্লামা নূরুদ্দিন গওহরপুরি(রহঃ) এর কাছে প্রথম বাইয়াত হন। উনার ইন্তোকাল পর বহুদিন পর্যন্ত একজন কামেল শাখেরে তালাশে ছিলেন। হঠাৎ একদিন উনার পরিচিত জনদের মারফৎ সংবাদ পান যে হযরত শায়েখে ইমাম বাড়ী আব্দুল মমিন (রহঃ) ময়মনসিংহের মাসকান্দায় অবস্থিত খানকায় ইতেকাফ করেন। ইতেকাফ রমজান এর ১৭ তারিখে হযরত শায়খে ইমামবাড়ীর (রহঃ) সাথে সর্ব প্রথম সাক্ষাত করেন। তারপর তিনি সাহেবজাদা শায়খে বালিয়া (রহঃ) এর পরিচয় দেওয়া মাত্রই তিনি বললেন তুমি কি ইতেকাফ করতে এসেছ। উত্তরে শায়েখ বলেন হযরত শুধু সাক্ষাতের জন্যই এসেছি। তখন শায়েখ ইমামবাড়ী(রহঃ) বললেন তুমি রমযানের বিশেই রমযানে ইতেকাফে জন্য চলে আসও। বিশেই রমযানে ইতেকাফের আসার পর তিনি বললেন কোথাও বাইয়াত হয়েছ কি না? উত্তরে তিনি বললেন সর্বপ্রথম আমি শায়খে গওহরপুরি (রহঃ) কাছে বাইয়াত ছিলাম। এরপর তিনি আমাকে বাইয়াত করে নিলেন এবং মামুলাত আদায় করতে বললেন। তারপর হযরত(রহঃ) ইসারায় মুফতি মাহবুল্লাহ সাহেবের দাঃবাঃ এর মাধ্যমে খানকায়ে হোসায়নিয়া মাদানিয়ার একাধারে পরপর তিন রমজান তাহাজ্জুতের নামাজের জায়নামাযে দাড়ানোর সুযোগ হয়, ইমাম সাহেবের দায়িত্বে। ১৪৩৮হিজরীর রমজানের ১০দিন পূর্বে থেকে ময়মনসিংহে খানকায়ে হোসানিয়া মাদানিয়াতে চল্লিশ দিনের( চিল্লা) ইতেকাফ করেন। এসময় ২৭শে রমজান জোহরের নামাজের পর ইজাজ প্রাপ্র হন। আল্লাহ তাআলা শেষ জামানায় দ্বীনের হেফাজতের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দ কে কবুল করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দ এর এক উজ্জল নক্ষত্র কুতবুল আলম হযরত মাওলানা হোসাইন আহমাদ মাদানী (রহঃ) তারই হাতে গড়া সুযোগ্য উত্তরসূরি খলিফায়ে মাদানী শায়খে ইমামবাড়ী হযরত কুতবুল আলম (রহঃ) এর মধ্যযুগের সাত বৎসর সুহবত এর ফয়েজ লাভ করেন। যায় সম্পর্কে বুজুর্গদের উক্তি মদিনা (সাঃ) ওয়ালাও তাকে চিনেন। হযরত মাওলানা আহমেদ শফী(রহঃ)এর বক্তব্য এই হযরত শাইখে ইমামবাড়ী (রহঃ) হলেন সুলুকের লাইনে তাসাউফের মাদানে (PHD) (Doctorate of Philosophe ) করা একজন ব্যক্তিত্ব । দেওবন্দে আমার চাইতে হযরত শায়খে ইমামবাড়ি(রহঃ) একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল। শায়খে বালিয়া(রহঃ) বলেন, আমি ইমামবাড়ি মাদ্রাসায়র সভা ও বিভিন্ন প্রোগ্রামে হযরত শায়খে ইমামবাড়ী (রহঃ) এর সাথে দেখা সাক্ষাত হয়েছে এবং আমাকে খুব স্নেহ করতেন ও কাছের মানুষ মনে করতেন। আমি সিলেটে লেখাপড়া করেছি ও সিলেটের বুজুর্গদের সাথে অনেক বেশি সু-সম্পর্ক রেখেছি এবং রাজনৈতিক মায়দানে আমি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামিয়ার একজন গাড় ভক্ত ও সমর্থক ছিলাম। যার কারনে আমি অধম কে অনেক সময় বলতেন যে, হে বালিয়ার পিরের পুত এইকথা বলে হাত দিয়ে ঈসারা করে ডাকতেন। এবং বলতেন পিরাকি শিখতে হবে,জিকির শিখতে হবে তাসবিয়াত আদায় করতে হয়ে । হযরত শায়খে ইমামবাড়ি(রহঃ) দির্ঘ দিন হযরত মাদানী (রহঃ) সুহবতে পরসে ছোয়ায় থাকার পর আসামে বাইসকান্দি মাদ্রাসায় মসজিদে ইতেকাফের সময় আধ্যাত্তিক রাহবারের মুকুট প্রদান করেন। অর্থ্যাৎ বায়াত প্রাপ্ত হন।